কর্ণাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোনওভাবেই এই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চলা হবে না। কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন তিনি।
কার্যত গোটা দেশজুড়ে যখন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এত হইচই তখন এই জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া।
তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আগের বিজেপি সরকার যে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চলার কথা জানিয়েছিল তা সম্পূর্ণভাবে বিলোপ করা হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে কিছু করা হবে না।
তবে এবারের শিক্ষাবর্ষে এই নীতি মেনে চলা হবে। কারণ এটা শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়। সেক্ষেত্রে এখনই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না সরকার।
সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বিলোপের আগে উপযুক্ত প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত দরকার। তিনি জানিয়েছেন, এবার সময় অত্যন্ত কম। সেকারণে পড়ুয়াদের যাতে সমস্যা না হয় সেটা দেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেকারণে এবার যেমন জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে কাজ হচ্ছে সেটা তেমনই চলবে। কারণ এবার যখন ভোটের ফলাফল বের হয়েছিল আর কর্ণাটকে সরকার বদল হয় তখন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে মাঝপথে এনিয়ে পদক্ষেপ নিলে পড়ুয়াদের সমস্যা হতে পারে। সেকারণে এবার NEP আগের মতোই চালু থাকবে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এই জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়া. তাদের অভিভাবকরা, প্রফেসর, লেকচারার সহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে এনিয়ে আপত্তি উঠছে। তাঁর মতে গোটা দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করার আগেই কর্ণাটকে তা প্রয়োগ করা হল। সেক্ষেত্রে এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করা হল।
এদিকে গোটা দেশের মধ্য়ে কর্ণাটকে প্রথম এই জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করা হয়েছিল। সেখানকার বিগত সরকার ২০২১ সালে এই জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করেছিল। কিন্তু ভোটে লড়ার আগেই কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছিল ক্ষমতায় এলে তাঁরা কর্ণাটক থেকে জাতীয় শিক্ষানীতিকে ছেঁটে ফেলবেন। সেক্ষেত্রে কর্ণাটকে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কংগ্রেস সরকার। আর সেই নিরিখে এবার জাতীয় শিক্ষানীতিকে ছেঁটে ফেলার উদ্যোগ। কংগ্রেসের দাবি এই পলিসি জাতীয় শিক্ষানীতি নয়, এটা নাগপুর এডুকেশন পলিসি। এই জাতীয় শিক্ষানীতি আরএসএসের সদর দফতর থেকে বের করা হয়েছে। তবে এবার প্রশ্ন উঠছে বাংলায় এই জাতীয় শিক্ষানীতি কতটা মানা হবে, কতটা হবে না তানিয়েও প্রশ্ন উঠছে।