স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রান্ত হলেন ৪০০-র বেশি পড়ুয়া ও শিক্ষক। তাই তড়িঘড়ি স্কুল আবার বন্ধ করে দেওয়া হল অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে ২৬২ জন পড়ুয়া ও ১৬০ জন শিক্ষক স্কুল খোলার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় চলতি মাসে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
ওড়িশার স্কুল ও জনশিক্ষামন্ত্রী সমীররঞ্জন দাস বলেন, ‘নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলার কথা আগে ঘোষণা করা হলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।’
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক কেরালা ও দিল্লিতে কোভিডের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাওয়ার উদাহরণ দিয়ে আরও বেশি নজরদারির পরামর্শ দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এসে থাকলে তা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হবে। রাজ্যে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনই স্কুল পুনরায় খোলার অনুমতি দিচ্ছি না। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের নতুন নির্দেশিকার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাই শিশুরা নিরাপদে থাকুক।’
অভিভাবকদের সংগঠন ওড়িশা অভিভাবক মহাসংঘ স্কুল খোলার বিরোধিতা করেছে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রাতিষ্ঠানিক, প্রতিযোগিতামূলক ও প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অনলাইনে শিক্ষাদানের অনুমতি ও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।’