বাংলা নিউজ > কর্মখালি > Unemployed population to increase in 2023: ২০২৩ সালে বিশ্বে বাড়তে পারে বেকার, ২১ কোটির হাতে থাকবে না চাকরি: রিপোর্ট

Unemployed population to increase in 2023: ২০২৩ সালে বিশ্বে বাড়তে পারে বেকার, ২১ কোটির হাতে থাকবে না চাকরি: রিপোর্ট

২০২৩ সালে বাড়তে পারে বেকারের সংখ্যা - রিপোর্ট। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)

Unemployed population to increase in 2023: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বে বেকারের সংখ্যা তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ বাড়তে পারে মনে করা হচ্ছে। শুধু সেখানেই দুর্দশার শেষ হবে না। যাঁরা চাকরি করছেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাঁদের প্রকৃত বেতন কমে যাবে।

নয়া বছরে বিশ্বে লাফিয়ে বাড়তে পারে বেকারের সংখ্যা। তার ফলে চলতি বছরে পুরো বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা ২১ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এজেন্সি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বে বেকারের সংখ্যা তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ বাড়তে পারে মনে করা হচ্ছে। তার ফলে মোট বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০৮ মিলিয়ন বা ২০.৮ কোটি। বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়াবে ৫.৮ শতাংশ। শুধু সেখানেই দুর্দশার শেষ হবে না। যাঁরা চাকরি করছেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাঁদের প্রকৃত বেতন (খরচপাতি বাদ দিয়ে বেতনের যে অংশটা পড়ে থাকছে) কমে যাবে। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় বেশি অর্থ খরচ হয়ে যাবে। সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাবে বলে ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, 'বেতন বৃদ্ধির থেকে দ্রুত হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকার ফলে' জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হবে। জীবন অতিবাহিত করার জন্য যে অর্থ খরচ হবে, তা বৃদ্ধি পাবে। তার জেরে আরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যতার কবলে চলে যাবেন। তারইমধ্যে বিশ্বের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে যায়, তাহলে তো সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Microsoft Layoff: আজকেই একধাক্কায় ১১ হাজার কর্মচারী ছাঁটাই করতে চলেছে মাইক্রোসফট, দাবি রিপোর্টে

ওই রিপোর্টের কো-অর্ডিনেটর এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিসার্চ বিভাগের অধিকর্তা রিচার্ড সামানস বলেছেন, 'বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি গতি থমকে যাওয়ার অর্থ হল, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় আমরা যে ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম, তা থেকে ২০২৫ সালের আগে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।'

একইসুরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল গিলবার্ট হুঙ্গবো জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর সময় যে মধ্য-আয় এবং নিম্ন-আয় বিশিষ্ট দেশগুলি ধাক্কা খেয়েছিল, তা থেকে ঠিকমতো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তারইমধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়। টোগোর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০২৩ সালে শ্লথ আর্থিক বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের হার নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অদূর ভবিষ্যতে অধিকাংশ দেশ প্রাক-করোনাভাইরাস স্তরে ফিরে যেতে পারবে না।'

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন