২০২০ সাল থেকে চালু হতে চলেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের নয়া বেতনক্রম। তবে তার আওতায় পড়বেন না ডেপুটেশনে থাকা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জারি করা স্মারকলিপিতে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
এ দিন প্রকাশিত মেমোর্যান্ডামে উল্লেখ করা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা বর্তমানে বিভিন্ন পুরসভা অথবা পুরনিগমে বা জেলা পরিষদে ডেপুটেশনে রয়েছেন, তাঁরা বর্ধিত বেতনের সুবিধা পাবেন না। অর্থাত্ নিজেদের বর্তমান পদ থেকে পুনর্বাসন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা বর্ধিত হারে বেতন থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
নবান্ন থেকে প্রকাশিত স্মারকলিপি ঘিরে শুরু হয়েছে অসন্তোষ এবং বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশের নতুন বেতনক্রমে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে। আবার মেমোর্যান্ডামের মানে নিয়েও কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও বিক্ষোভের সম্ভাবনা দেখা দেয়নি বলে জানা গিয়েছে।
বিতর্কের বিষয়টি বাদ দিলে, বর্ধিত হারে বেতন পাওয়ার খবরে খুশির হাওয়া বইছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। বিশেষ করে, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বেতন কমিশন যে কর্মীদের পক্ষেই সুপারিশ করেছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। পাশাপাশি, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার বিষয়টি এখনও অনিশ্চয়তার মোড়কে ঢাকা থাকায় ক্ষোভের পারদ চড়েছে।
জানা গিয়েছে, বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার ফলে গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন মাসে অন্তত ৩,০০০ টাকা বাড়ছে। একই সঙ্গে গ্রুপ সি কর্মীদের বেতন মাসিক ৪,০০০ টাকা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। আবার বাড়ার কথা রয়েচে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদেরও।
পাশাপাশি, বেতন বাড়ছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী, পঞ্চায়েত ও পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদেরও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধিত হারে বেতন বাবদ রাজ্যের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে।