করোনার জেরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই চলে, বিশেষত রেড জোনে। নয়া ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। অন্যদের নয়া সেমিস্টার চালু হবে অগস্টে। যেসব জায়গায় সম্ভব সেখানে জুলাই মাসে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। কিন্তু যেখানে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, সেখানে কী হবে তার একটি পথ বাতলেছে ইউজিসি।
ঠিক করা হয়েছে যেখানে সেমিস্টারের ফলাফল নেই, সেখানে ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মার্কস দিতে হবে।সেমিস্টারের মধ্যে প্রিলিমস, মিড-সেমিস্টার যাই পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে আরও সরল করার ও বিকল্প পদ্ধতি খোঁজার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জোর দিতে বলেছে ইউজিসি। পরীক্ষার মেয়াদও তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে যে সব ছাত্র নিজেদের ফলাফলে খুশি নন, তাদের আরেকটি বার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে ইউজিসি, যদি সেই সুযোগ থাকে। এই সংক্রান্ত একটি গ্রিভ্যান্স রিড্রেশাল মেকানিজম তৈরী করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। অর্থাত্ প্রক্রিয়া নিয়ে অখুশি থাকলে সেখানে গিয়ে প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে। সেই গ্রিভান্স সেল মনিটর করবে একটি বিশেষ হেল্পলাইন।
যেখানে পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না সেখানে ৫০ শতাংশ ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্ট ও বাকিটা আগের সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। প্র্যাক্টিকাল ও ভাইভার পরীক্ষা স্কাইপে বা অন্য কোনও ভিডিও কলিং অ্যাপের মাধ্যমে করার কথা বলেছে ইউজিসি। তবে এটা শুধু লাস্ট সেমিস্টারের ছাত্রদের জন্য। বাকিদের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা পরে হবে।
ভার্চুয়াল ল্যাবে ছাত্রদের হাতে কলমে শেখার কিছুটা পরিপূরক হতে পারবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। এর জন্য ল্যাব ওয়ার্কের ভিডিও ছাত্রদের দিতে হবে। অন্যান্য ডিজিটাল রিসোর্স তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। মোট কোর্সের ২৫ শতাংশ অনলাইন শেষ করার সুপারিশ করেছে ইউজিসি।