আন্দ্রে রাসেলের সামনে ঝলক থমকে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ঝড়। আসলে ব্যাট হাতে একটা সময়ে ঝড় তুলেছিলেন রজত পতিদার ও উইল জ্যাকস। ৩.১ ওভারে ৩৫ রানে বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু প্লেসির উইকেট হারিয়ে RCB কে চাপে ফেলে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এরপরে মাঠে নামেন রজত পতিদার ও উইল জ্যাকস। ১১ ওভার পর্যন্ত তারা স্কোর বোর্ডে ১৩৭ রান তুলে দিয়েছিল। অর্থাৎ সাত ওভারে ১০২ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিল তারা। ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলেছিলেন রজত ও জ্যাক।
ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দিলেন আন্দ্রে রাসেল
একটা সময়ে মনে হয়েছিল এই ম্যাচ সহজেই জিতে যাবে বেঙ্গালুরু। তবে ১২ তম ওভার করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। নিজের এই ওভারে প্রথম বলেই উইল জ্যাককে ফিরিয়ে দেন রাসেল। এই ওভারের চতুর্থ বলেই রজত পতিদারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন রাসেল। শুধু দুটো উইকেট নেওয়া নয়, এর ফলে বেঙ্গালুরুর রানের ঝড় থামিয়ে দিলেন রাসেল। এই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে দুটো উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল। এই ওভার ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট হতেই পারে।
কারণ শুধু রাসেল নয়, এর পরের ওভারে বল করতে এসে সফল হন সুনীল নারিন। তিনিও দুটো উইকেট নেন। ক্যামরন গ্রিন ও লোমরোরকে আউট করেন সুনীল নারিন। ১৩ ওভারের শেষে RCB-র স্কোর হয় ১৫৫ রানে ৬ উইকেট। এরপরেই রানের গতি কমে যায়।
কেমন ছিল RCB-র ইনিংস?
এদিন ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। মাত্র সাত বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে হর্ষিত রানার শিকার হন বিরাট কোহলি। তবে এই আউট নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না কিং কোহলি। মাঠের মাঝেই এর প্রতিবাদ জানান তিনি। এরপরে সাত রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে সাজঘরে ফেরেন ফ্যাফ। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় বেঙ্গালরু। এরপরে রজত পতিদার ও উইল জ্যাকস দারুণ জুটি গড়েন। ১৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় RCB. আন্দ্রে রাসেল এসেই এক ওভারে উইল জ্যাকস ও রজতকে সাজঘরে ফেরান রাসেল। জ্যাকস করেন ৩২ বলে ৫৫ রান এবং রজত ২৩ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপরে ম্যাচের ছবি বদলে যায়। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ বেঙ্গালুরু সহজেই জিতবে, তবে সেটা আর হয়নি। এরপরে সুনীল নারিন পরের ওভারে এসেই ক্যামরন গ্রিন ও লোমরোরকে সাজঘরে ফেরান নারিন। গ্রিন ৬ রান ও লোমরোর চার রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৩ ওভারে RCB-র স্কোর ছিল ১৫৫/৬ রান।