শুভব্রত মুখার্জি:- হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ডি বলবির্নির অপরাজিত অনবদ্য ইনিংসে ভর করে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জিতল আয়ারল্যান্ড। পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ও জিতল আয়ারল্যান্ড দল। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠেই আইরিশরা জিতে নিল ওয়ানডে সিরিজ। ম্যাচে অনবদ্য ৮২ রানের ইনিংস খেলে দুই দলের ব্যবধান গড়ে দেন বলবির্নি। এদিন বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ছোট করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। প্রতি ইনিংসে খেলা হয় ৪০ ওভার করে। ৪০ ওভারের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০১ রান। হাতে ৭ উইকেট রেখে তারা এই জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচে জিম্বাবোয়ে প্রথমে ব্যাট করে। তারা নির্ধারিত ৪০ ওভারে ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। ১০৮ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৮ টি চার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অধিনায়ক সিকন্দর রাজা। তিনি ৩৩ বলে ৩৭ রান করেন। এছাড়াও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা করেন ১৯ বলে ২৪ রান করেছেন। এছাড়া আর বলার মতো রান পাননি কোনও জিম্বাবোয়ে ব্যাটার। আয়ারল্যান্ডের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং গ্রাহাম হিউম। কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। অন্যদিকে ৩৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন হিউম। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২০১ রান।
রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১২ রানের মাথাতে আউট হয়ে যান পল স্টার্লিং।এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার অ্যান্ডি বলবির্নি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তিনি ৫০ বলে ৪০ রান করেন। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৭০ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬ টি চারে। কার্টিস ক্যাম্ফার আউট হয়ে যাওয়ার পরে বালবির্নি জুটি বাঁধেন হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে। টেক্টের ৪২ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর লরকান টাকারকে সঙ্গী করে অবিচ্ছেদ্য ৫৯ রানের জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন অ্যান্ডি বালবির্নি। তিনি ১০২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪ টি চার এবং একটি ছয়ে। লরকান টাকার ২৩ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ফলে ৩৭.৫ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে ম্যাচ এবং সিরিজ জয় নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড দল।