মণীশ পান্ডে, রাহুল ত্রিপাঠী, সন্দীপ শর্মা, অনুকূল রায়ের মতো তারকা ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে রং ছড়ালেন গত যুব বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে মাঠে নামা দুই উঠতি তারকা। মূলত অর্শিন কুলকার্নি ও সচিন ধাসের পারফর্ম্যান্সে ভর করেই ডিওয়াই পাতিল টি-২০ কাপে বিপিসিএলকে হারিয়ে দিল জৈন ইরিগেশন।
শুক্রবার টস জিতে জৈন ইরিগেশনের ক্যাপ্টেন জয় বিস্তা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বিপিসিএলকে। সন্দীপ শর্মার নেতৃত্বাধীন বিপিসিএল শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন অখিল হারওয়াদকর। যদিও ৩৩টি বল খরচ করেন তিনি। অখিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
১৮ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অনুকূল রায়, যিনি ক'দিন পরেই কেকেআরের হয়ে আইপিএলে মাঠে নামবেন। অনুকূল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ২৬ রান করে নট-আউট থাকেন শ্রেয়স গোপাল।
এছাড়া রাহুল ত্রিপাঠী ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ১৫ রান করেন। ১১ বলে ১৯ রান করেন রমনদীপ সিং। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১ বলেই আউট হয়ে বসেন মণীশ পান্ডে। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ১২ রান করেন একনাথ কেরকর।
জৈন ইরিগেশনের মায়াঙ্ক যাদব ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ২৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন প্রশান্ত সোলাঙ্কি। শুভম শর্মা ২ ওভারে ২১ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ ওভারে ২২ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন অর্শিন কুলকার্নি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে জৈন ইরিগেশন ১৯ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৫২ বলে ৮৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অর্শিন কুলকার্নি। তিনি ১১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। সচিন ধাস করেন ২৫ বলে ৩৭ রান। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। জয় বিস্তা ১৯ বলে ২৮ রান করেন। তিনি ৬টি চার মারেন।
অনুকূল ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন। কেকেআরের হয়ে মাঠে নামতে চলা আরও এক ক্রিকেটার সাকিব হুসেন ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করেও উইকেট পাননি সন্দীপ শর্মা। ম্যাচের সেরা হন অর্শিন।