রবিবার ২০২৩ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (LPL) ফাইনালে ডাম্বুলা অরাকে ৫ উইকেটে গুঁড়িয়ে শিরোপা জিতে নেয় বি-লাভ ক্যান্ডি। এই প্রথম বার লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের জয়ের স্বাদ পেল ক্যান্ডি। প্রসঙ্গত, ডাম্বুলা এবং ক্যান্ডি- দুই দলই প্রথম বারের মতো ফাইনালে উঠেছিল।
এটি ছিল লিগের চতুর্থ আসর। এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে তিনটি সংস্করণেই (২০২০, ২০২১ এবং ২০২২) জাফনা কিংস ট্রফি জিতেছে। প্রথম বার ঘটল ব্যতিক্রমী ঘটনা।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ম্যাচের বিবরণ এবং রেকর্ড:
ম্যাচের স্কোর-
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ডাম্বুলা ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে। দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেন ধনঞ্জয় ডি'সিলভা। তিনি ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪০ রান করেন। এছাড়া সাদিরা সামারাবিক্রমা করেন ৩৬ রান (৩০ বল) এবং কুশল পেরেরা অপরাজিত ৩১ রান (২৫ বল) করেন। ক্যান্ডির হয়ে ২ উইকেট নেন চতুরঙ্গ ডি'সিলভা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্যান্ডি দল ১৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দাপটের সঙ্গে ১৫১ রান তুলে নেয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান ৩৭ বল) করেন কিমিন্দু মেন্ডিস। ডাম্বুলার হয়ে নুর আহমেদ দারুণ বোলিং করে ৩ উইকেট নেন।
যে পথে জয় ছিনিয়ে নেয় ক্যান্ডি-
লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ক্যান্ডির শুরুটা ভালো হয়েছিল। মহম্মদ হ্যারিস (২৬ রান) এবং মেন্ডিস প্রথম উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেন। মাত্র ৬ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন মেন্ডিস। ৩৭ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। এদিকে, উইকেটরক্ষক দিনেশ চান্ডিমাল ২৪ রানে আউট হন এবং চতুরাঙ্গা ডি'সিলভা শূন্য রানে আউট হন। শেষ পর্যন্ত দলের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (২৫*) ও আসিফ আলি (১৯) জয়ের দিকে নিয়ে যান ক্যান্ডিকে।
২০২৩ এলপিএল-এর সেরা ব্যাটসম্যান-
ক্যান্ডির ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। এই মরশুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। তিনি ১০ ম্যাচে ৩৪.৮৭ গড়ে এবং ১৯৮.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ২৭৯ রান করেছেন। তাঁর পারফরম্যান্সের হাত ধরে ক্যান্ডি ফাইনালে উঠলেও, চোটের কারণে রবিবার খেলতে পারেননি। ফাইনালে না খেলার আফসোস নিঃসন্দেহে থাকবে হাসারাঙ্গার।
লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন বাবর আজম। তিনি ৮ ম্যাচে ৩২.৬২ গড়ে ২৬১ রান করেছেন। এই মরশুমে তৃতীয় সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন দিনেশ চান্ডিমাল। ১০ ম্যাচে তিনি ২৫৯ রান করেছেন তিনি।
২০২৩ এলপিএল-এর সেরা বোলার-
হাসারাঙ্গা শুধুমাত্র ২০২৩ এলপিএলে ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও স্মরণীয় পারফরম্যান্স করেছেন। লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন তিনি। ১০ ম্যাচে ৫.৫১ ইকোনমি রেটে ১৯ উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মরশুমের দ্বিতীয় সফল বোলার নুয়ান প্রদীপ। তিনি ৭ ম্যাচে ৮.৮৮ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট নিয়েছেন। যৌথ ভাবে তিন নম্বরে রয়েছেন মাথিশা পাথিরানা ও তাবরেজ শামসি। দু'জনেই ১২টি করে উইকেট নেন।