সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের মাঠে দুর্দান্ত সব ফিল্ডিংয়ের নমুনা দেখা গিয়েছে। অনবদ্য রান-আউট, দুরন্ত বাউন্ডারি সেভ, অসাধারণ ক্যাচের ঘটনা চোখে পড়ে হামেশাই। তবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন যে রকম ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেন, তেমনটা ক্রিকেটের ইতিহাসে খুব বেশি দেখা যায়নি নিশ্চিত।
শনিবার ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেন কায়রন পোলার্ডকে আউট করতে যে ক্যাচটি ধরেন অ্যালেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৪.১ ওভারে ইমদ ওয়াসিমের বলে লেগ সাইডে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন পোলার্ড। তিনি ডিপ মিড-উইকেট অঞ্চলে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন।
এমনটা নয় যে, পোলার্ড উঁচু শট খেলার চেষ্টা করেন। বরং চার আদায় করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। বল ড্রপ করছিল তাঁর অনেকটা আগে। অ্যালেন দাঁড়িয়ে থাকলে অনায়াসে বাউন্ডারি বাঁচাতে পারতেন। কেননা বল ড্রপ করে তাঁর হাতে চলে আসত। তবে তিনি ক্যাচ ধরাই মনস্থির করেন।
সামনের দিকে শরীর ফেলে ক্যাচ ধরা ঝুঁকির। অ্যালেন বলের গতিপ্রকৃতি অনুমান করে এক হাতে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন। কার্যত মাটিতে ড্রপ পড়ার মুহূর্তে ছোঁ-মেরে ডান হাতে বল লুফে নেন ফ্যাবিয়ান। ব্যাটসম্যান পোলার্ডও ভাবতে পারেননি যে, এভাবে ক্যাচ ধরে নিতে পারেন অ্যালেন। সংশয় থাকায় পোলার্ডকে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শেষে তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করেন যে, অসাধরণ ক্যাচ ধরেছেন ফ্যাবিয়ান। ফলে পোলার্ডকে ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়।
এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোরে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের লাইভ আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
যদিও পোলার্ডের আউট হওয়ার কোনও প্রভাব পড়েনি ম্যাচের ফলাফলে। কেননা রান তাড়া করতে নেমে দাপুটে জয় তুলে নেয় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে জামাইকা তালাওয়াজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইমদ ওয়াসিম।
এছাড়া জার্মাইন ব্ল্যাকউড ২৯ ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ১৪ রানের যোগদান রাখেন। টিকেআরের আলি খান ২৭ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। সুনীল নারিন ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাইট রাইডার্স ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিকেআর। গত ম্যাচে ধ্বংসাত্মক শতরান করা নিকোলাস পুরান এই ম্যাচে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৪ রান করে আউট হন।