শুভব্রত মুখার্জি: ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আবুধাবির একেবারে নতুন করে তৈরি স্টেডিয়াম টলারেন্স ওভালে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। প্রথম দিন থেকেই জমে গিয়েছিল ক্লাসের কার্যত এই দুই 'নয়া' ছাত্রের লড়াই। সেই লড়াইয়ের ফলাফল জানা গিয়েছে তিন দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরেই। আফগানদের হারিয়ে লাল বলের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্টে নিজেদের প্রথম টেস্ট জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা। শুক্রবার নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি আইরিশরা। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তারা নয়া ইতিহাস গড়েছেন। ছয় উইকেটে তারা রশিদ খানের দেশকে হারিয়ে দিয়ে ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতন দেশগুলোকে একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছে। কী সেই নজির? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন… আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কি লড়বেন যুবরাজ সিং? সব জল্পনা থেকে পর্দা তুললেন সিক্সার কিং
আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম টেস্ট জয় পেয়েছে নিজেদের অষ্টম টেস্ট ম্যাচে। অর্থাৎ প্রথম সাত টেস্টে হারের পরে তারা অষ্টম টেস্টে জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। তারা নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিল জয়। দ্বিতীয় স্থানে একসঙ্গে রয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। তারা নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেই তাদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছিদ। এরপর রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা নিজেদের ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছিল। পরবর্তীতে জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের পরে রয়েছে জিম্বাবোয়ে।তারা নিজেদের ১১ তম টেস্টে প্রথম জয় পেয়েছিল। এরপর রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।তারা নিজেদের ১২ তম টেস্টে পেয়েছিল নিজেদের প্রথম জয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্জুন রনতুঙ্গার দেশ নিজেদের ১৪ তম টেস্টে পেয়েছিল নিজেদের প্রথম জয়। এরপরেই রয়েছে ভারত। যারা নিজেদের ২৫ তম টেস্টে পেয়েছিল নিজেদের প্রথম জয়।নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলার ২০ বছর পরে এই জয় পেয়েছিল তারা। ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ দল। যারা নিজেদের ৩৫ তম টেস্টে পেয়েছিল নিজেদের প্রথম জয়। তারপরে রয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দেশ নিউজিল্যান্ড।যারা নিজেদের ৪৫ তম টেস্টে পেয়েছিল নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ। এদিন টলারেন্স ওভালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মার্ক আডায়ার। তিনি প্রথম ইনিংসে আইরিশদের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
ফলে ১৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল আফগানিস্তান। জবাবে ২৬৩ রান করে ১০৮ রানের লিড নিয়েছিল আইরিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২১৮ রান অল আউট হয়ে যায় আফগানরা। মার্ক আডায়ার নেন তিনটি উইকেট। জয়ের জন্য নির্ধারিত ১১১ রান মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই তুলে নিয়ে ইতিহাস রচনা করে আয়ারল্যান্ড।