জমে উঠেছে এশিয়া কাপ। প্রথম কয়েকটা ম্যাচ একতরফা এবং বৃষ্টি বিঘ্নিত থাকার পর জমে গেল আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। গ্রুপ 'বি'-র এই ম্যাচ দুটি দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এমনিতেই এশিয়া কাপের প্রত্যেকটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে মাত্র ২ রানে হারে আফগানিস্তান। তাদের এই লড়াইয়ের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ছে সব মহলে। এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগেই আফগানিস্তান দলের পক্ষ থেকে বলা হয় শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নয় টুর্নামেন্ট জেতার জন্য ঝাপাবে তারা। সেই রঙই প্রতিফলিত হলো শ্রীলঙ্কা ম্যাচে।
এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দানুস শানাকা। আট উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তুলে তারা। শুরুটা শ্রীলঙ্কার খুব ভালো না হলেও আবার খারাপ হয়নি। ৬৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পরে তাদের। ৪০ বলে ৪১ রান করেন ওপেনার পথুম নিশঙ্কা। এরপরে তিন নম্বর পজিশনে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান কুশল মেন্ডিস। তাঁর ৯২ রানের ইনিংস পদস্থ জায়গায় নিয়ে যায় শ্রীলঙ্কাকে। শেষের দিকে ডুনিথ ওয়েল্লালাগে ৩৩ রানের ইনিংস অনেকটা সাহায্য করে লঙ্কানদের।
বড়ো রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদের মুখে পড়ে আফগানরা। ২৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় তাদের। সকলেই ভাবতে থাকে শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচে জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো লড়াই শুরু আফগানিস্তানের। রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, মহম্মদ নবীরা যে ইনিংস খেলে যান তাতে জয়ের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু এখানেই বড় দল গুলোর সঙ্গে অন্যান্য দলগুলোর পার্থক্য।
এমন একটা পরিস্থিতি আসে যখন ৩ বলে ৬ রান দরকার আফগানিস্তানের। সেখান থেকে দুই রানে ম্যাচ হারে তারা। আফগানদের এই লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করলেও টিম ম্যানেজমেন্টকে তুলোধোনা করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বেঙ্কটেশ প্রসাদ। টুইট করে লেখেন, 'সত্যিই আফসোস হচ্ছে। আফগানিস্তান অসাধারণ লড়াই করেছে। কিন্তু বোঝা যায়নি শেষ তিন বলে ছয় রানে তারা আটকে যাবে। এই ম্যাচ দেখতে দেখতে গিয়ে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের মার্ক বাউচারের কথা মনে পড়ে গেল। এইরকম পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাপোর্ট স্টাফদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।'
অন্যদিকে অভিনন্দ মুকুন্দ বলেন, 'বর্তমান উন্নতপ্রযুক্তির বিশ্বে কেউ জানতে পারেনি আফগানিস্তান এইরকম জায়গায় পৌঁছে যাবে। আফগানরা নিজেরাও এটা ভাবেনি। তৃতীয় বলে ওরা একটা সহজ সিঙ্গেলস ফসকায়। এটা খুবই হৃদয়বিদারক। তবে শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য।'