একটা অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম। ব্যর্থতা একেবারেই পিছু ছাড়ছে না দলের। এমনকী জয়ের দোরগোড়ায় এসেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে একেবারেই মনের মতো হচ্ছে না বাটলারদের। প্রথমে গতবছরের বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতা এবং তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ ও একদিনের সিরিজে বড় ব্যবধানে পরাজয়।
শুধু সিনিয়র নয়, জুনিয়র দলেও একই প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় এ দলের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে তাদের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের চিত্র। তার ফলে প্রথমদিনেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ভারতীয় বোলারদের দাপটের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড লায়ন্সের ব্যাটাররা। এমনকী স্বাচ্ছন্দ দেখা যায়নি তাদের বোলিং বিভাগকেও। দিনের শেষে ভারতের যা স্কোর তাতে এটা স্পষ্ট যে লিড নেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয় দিনও যদি এই অবস্থা বজায় থাকে, তাহলে আরও চাপে পড়ে যাবে ইংল্যান্ড লায়ন্স।
শুক্রবার, অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি আমদাবাদে খেলতে নামে দুই দল। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড লায়ন্স। মাত্র ৫১.১ ওভারেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। মাত্র ২৩৩ রানের করে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের একটি প্রশংসনীয় ইনিংস খেলেন ড্যান মসলে। তিনি হাকিয়েছেন ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি। এছাড়া অলি রবিনসন করেছেন ৪৫ এবং ওপেনার অ্যালেক্স লিস করেন ৩৫ রান। এদিন ভারতীয় বোলারদের দাপট ছিল দেখার মতো। তিনটি উইকেট তোলেন মানব সুথার এবং দুটি নেন আকাশ দীপ। এছাড়া একটি করে উইকেট পান বিদ্বার্থ কাভেরাপ্পা, তুষার দেশপান্ডে ও পুলকিত নারং।
তবে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্য চিত্র দেখা যায় ভারতীয় 'এ' দলের ব্যাটারদের মধ্যে। শুরু থেকেই তাদের মধ্যে দেখা যায় চাপমুক্ত ব্যাটিং। একেবারেই নড়বড়ে দেখাইনি তাদের ইংল্যান্ড লায়েন্সদের ব্যাটারদের মতো। লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নেমেই আক্রমণ করতে শুরু করে তারা। তবে ১৫ ওভারের শুরুতেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৪২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দলের অধিনায়ক, তথা বঙ্গ ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরন। উইকেটটি নেন ব্রাইডন কার্স। এরপর হাল ধরেন রজত পতিদার এবং প্রদোশ রঞ্জন পাল। দিনের শেষে দুজনেই অপরাজিত রয়েছেন। প্রদশ রঞ্জন পাল অপরাজিত রয়েছেন ২৪ রানে এবং রজত পাতিদার রয়েছেন ৬১ রানে। প্রথম দিনের শেষে ভারতী 'এ' দলের রান ১ উইকেট হারিয়ে ১২৩।