শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেটের নবতম ব্যাটিং সেনসেশন যশস্বী জসওয়াল। ব্যাট হাতে রীতিমতো হাঙ্গামা করে দিয়েছেন তিনি। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজে তো রয়েছেন একেবারে স্বপ্নের ফর্মে। ব্যাট হাতে প্রায় প্রতি ইনিংসেই রান পেয়েছেন তিনি। অনায়াসে হাঁকিয়েছেন শতরান, দ্বিশতরান। পঞ্চম টেস্টে ধরমশালাতেও তিনি প্রথম ইনিংসে বেশ ভালো ছন্দেই ব্যাট করেছেন। খেলেছেন এক ঝোড়ো শতরানের ইনিংস। আর এই ইনিংস খেলেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক নজির গড়ার তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন… প্যারিস অলিম্পিক গেমসের আগেই আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন থেকে অবসর নিলেন বি সাই প্রণীত
লাল বলের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্টে ইনিংসের নিরীখে কেরিয়ারে দ্রুততম ১০০০ রান পূর্ণ করার যে নজির সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যারা কিংবদন্তি বলে পরিচিত সেই সব পরিচিত নামেদের পাশেই স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন নিজের নাম। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের হার্বার্ট সাটক্লিফ। মাত্র ১২টি ইনিংসে এই নজির গড়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা এভারটন উইকস। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি ১৩ ইনিংসে সম্পন্ন করেছিলেন তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে ১০০০ রান। এরপর তালিকায় যৌথভাবে রয়েছেন নীল হার্ভে এবং বিনোদ কাম্বলি। তাঁরা ১৪ ইনিংসে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। এরপরেই স্থান হয়েছে যশস্বী জসওয়ালের। তিনি মাত্র ১৬ ইনিংসে এই কৃতিত্ব গড়েছেন। তাঁর সঙ্গে এই তালিকায় যৌথভাবে রয়েছে লিওনার্ড হাটন, ফ্র্যাঙ্ক ওরেল এবং লরেন্স রোয়ি।
আরও পড়ুন… শুরু হয়ে গেল দলবদলের খেলা! মোহনবাগান ছেড়ে চেন্নাইয়িন এফসির পথে কিয়ান নাসিরি- রিপোর্ট
আরও পড়ুন… ইতিহাস গড়ে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করল ভারতের পুরষ ও মহিলাদের টেবিল টেনিস দল
এদিন ধরমশালাতে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড দল। তারা মাত্র ২১৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৭৫ রানে তিন উইকেট থাকা অবস্থা থেকে তারা ২১৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। রান তাড়া করার সময়ে ভারতের হয়ে দেখে শুনে শুরু করেন যশস্বী। সেই সময়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগ্রাসী ভূমিকা নেন। এরপরেই হঠাৎ করেই গিয়ার বদলান যশস্বী। তিনি স্পিনার শোয়েব বশিরকে এক ওভারে তিনটি ছয় মারেন। তারপরেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন তিনি। প্রথম উইকেটে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটিতে করেন ১০৪ রান। ৫৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শোয়েব বশিরকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন তিনি। তাঁকে স্ট্যাম্প আউট করতে সময় নেননি বেন ফোকস। আউট হওয়ার আগে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার এবং তিনটি ছয়ে। দিন শেষে ভারত এক উইকেট হারিয়ে করেছে ১৩৫ রান। ভারতীয় দল আপাতত পিছিয়ে রয়েছে ৮৩ রানে।