শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-১ ফলে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল লাল বলের ক্রিকেটে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। নিজেদের শেষ টেস্ট সিরিজ ও তারা দক্ষিণ আফ্রিকাতে ১-১ ফলে ড্র করে এসেছে। এর আগে দেশের মাটিতে গত ওডিআই বিশ্বকাপেও ভারতীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই ফাইনালে খেলেছিল। গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও রোহিতের নেতৃত্বে খেলেছিল ভারতীয় দল। এমন আবহে দাঁড়িয়ে নেতা রোহিত শর্মার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। তাঁর মতে অধিনায়ক রোহিতের অধিনায়কত্বের বিষয়টি অনেকেই ‘ওভারলুক’ (নজর আন্দাজ) করে যায়।
রোহিতের অধিনায়কত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ইয়ান চ্যাপেল জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে হঠাৎ করেই পরিবর্তনের হাওয়া চলছে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন চলছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক সময়েই ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বকে ওভারলুক করা হয়। রোহিত কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে বেশ অন্যরকম। অধিনায়ক রোহিতের স্কিলসেট সম্পূর্ণ আলাদা। বেন স্টোকস অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। রোহিত সে রকম নয়। তবে ও কিন্তু যথেষ্ট কার্যকরী অধিনায়ক। প্রথম টেস্ট ম্যাচ হারের পরে যেভাবে ও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যেভাবে ওঁর নেতৃত্বে দল কামব্যাক করেছে তা সত্যিই অনবদ্য। তৃতীয় টেস্টে ওঁর দল যখন বিপদে ছিল তখন দুরন্ত একটা শতরান করেছিল ও। এই ইনিংসটা খেলে ও বুঝিয়ে দিয়েছে যে ও শুধু নাম কা ওয়াস্তে অধিনায়ক নয়।’
ইয়ান চ্যাপেল আরও যোগ করে বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের আলাদা একটা পেডিগ্রি রয়েছে। দলকে ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে দলকে। ওঁর অধিনায়কত্বে একটা ভুল এই সময়ে হলে ভারতীয় দল কিন্তু পতনের দিকে এগিয়ে যেতে পারত। সেটা বুঝে বুঝেই কিন্তু ও এগিয়েছে। যশস্বী জসওয়াল, জসপ্রীত বুমরাহর মতন ক্রিকেটাররা এই সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে। দলকে ওঁরা কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে ওদেরকে কিন্তু সামনে থেকে রোহিতকেই নেতৃত্ব দিতে হয়েছে। ওদের সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে হয়েছে কিন্তু রোহিতকেই। ওঁর ট্যাকটিকাল ক্ষমতা খুব ভালো। দলের সাজঘরের পরিবেশেও যথেষ্ট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে।’