ঘরোয়া ক্রিকেটে একের পর এক ভালো বোলিং করার জেরে জাতীয় দলে জায়গা পেলেন বাংলার তরুণ পেস বোলার আকাশ দীপ। শুধু বাংলার হয়ে নয় আইপিএলেও আরসিবির হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি। তাঁর বলের গতি নজর কেড়েছে সকল প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। সেই কারণেই জাসপ্রীত বুমরাহের পরিবর্তে তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত ভালো বোলিং করেছেন আকাশ। আপাতত তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিনটি উইকেট। কিন্তু এদিন তাঁর প্রথম উইকেট আসতো শীঘ্রই, কিন্তু একটি সামান্য ভুলের জন্য তিনি বঞ্চিত হলেন তা থেকে। নো বলের জেরে তা হাতছাড়া হয়। তবে শুধু তিনি নন, এই তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বোলারের নাম, যাঁদের প্রথম উইকেট হাত ছাড়া হয়েছে নো বলের জন্য।
শুক্রবার, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি রাঁচিতে চতুর্থ টেস্টে মুখোমুখি হয় ভারত ও ইংল্যান্ড। এই মুহূর্তে ভালো জায়গায় রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটার। তবে চতুর্থ টেস্টে বিশেষ চমক 'মেন ইন ব্লু' বাহিনীতে বাংলার তরুণ পেস বোলার আকাশ দীপের অভিষেক। নেমেই ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের চাপে ফেলতে শুরু করে তিনি। প্রথম ছয় ওভারেই তিনটি উইকেট নিয়ে নিয়ে নিয়েছেন আকাশ।
কিন্তু এদিন আকাশের প্রথম উইকেট আসতো দ্রুতই, তবে নো বল হওয়ার জন্য হয় তা হাতছাড়া হয়। ঘটনাটি ঘটে চতুর্থ ওভারে। স্ট্রাইকে ছিলেন ওপেনার জ্যাক ক্রলি। তাঁকে বোল্ড করার পরই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন আকাশ। কিন্তু পরক্ষণেই সেই আনন্দ ম্লান হয়ে যায় কারণ আম্পায়ার ইশারা দেয় নো বলের। এই মুহূর্তটি দেখেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল দর্শক কিছুক্ষণের জন্য হতাশ হয়ে পড়েন। তবে শুধু আকাশের ক্ষেত্রে নয়, এর আগেও বহু বিশিষ্ট বোলারের প্রথম উইকেট হাত ছাড়া হয় নো বলের জন্য। বাংলার তারকা পেসারের আগে এই ঘটনার শিকার হয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা, মাইকেল বিয়ার, বেন স্টোকস, মার্ক উড, স্টুয়ার্ট বিনি ও টম কারান।
উল্লেখ্য, বিহারের সাসারামে আকাশের জন্ম। অনেক কঠিন লড়াই করে জাতীয় দলে আসতে হয়েছে তাঁকে। একে পরিবারের খেলাধুলার তেমন চল ছিলোনা। তার উপর বাবা ও দাদার মৃত্যু আরও অবস্থা শোচনীয় করে তোলে। তবুও তিনি ক্রিকেট থেকে নিজের নজর সরাননি। নিজের লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ৩০টি ম্যাচ খেলে তুলেছেন ১০৪টি উইকেট। তিনি আইপিএলে আরসিবির হয়ে খেলেন।