মাত্র দেড় দিনেই শেষ ৫ দিনের টেস্ট ম্য়াচ। চারটি ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় মোটে ১০৭ ওভার। টেস্টের ইতিহাসের সব থেকে ছোট ম্যাচের রেকর্ড গড়ে নিউল্যান্ডসের ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। এত কম ওভারে এর আগে কখনও কোনও টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই কেপ টাউনের পিচ নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে যায়। ভারত ম্যাচ জিতলেও গাভাসকর, শাস্ত্রী, সেহওয়াগের মতো টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকারা প্রশ্ন তোলেন যে, ভারতের পিচে ৩ দিনে টেস্ট শেষ হলে বিদেশি সামলোচকরা কেন দাঁত-নখ উঁচিয়ে তেড়ে আসেন? এক্ষেত্রে পিচ নিয়ে সবাই চুপ কেন?
কেপ টাউনের পিচ নিয়ে শুধু সমালোচকরাই নন, এবার সোচ্চার হল আইসিসিও। তারা নিউল্যান্ডসের বাইশগজকে অসন্তোষজনক আখ্যা দিয়ে কার্যত সতর্ক করে দিল প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ডকে। আইসিসির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাদের পিচ ও আউটফিল্ড নজরদারি প্রক্রিয়া অনুযায়ী কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে ব্যবহৃত ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের বাইশগজ অসন্তোষজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আম্পায়ারদের মতামত নিয়ে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড রিপোর্ট জমা দেন আইসিসির কাছে। সব দিক খতিয়ে দেখার পরে নিউল্যান্ডসের খাতায় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আইসিসির তরফে। ব্রড নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, নিউল্যান্ডসের পিচে ব্যাট করা নিতান্ত কঠিন ছিল। বল হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠছিল এবং কখনও কখনও সেটা উদ্বেগজনক পর্যায়েও পৌঁছে যাচ্ছিল। এমন বাউন্সে শট খেলা মুশকিল। একাধিক ব্যাটারের গ্লাভসে বল লাগে এবং এমন অস্বস্তিকর বাউন্সের জন্য বেশ কিছু উইকেট পড়ে।
নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামের এই ডিমেরিট পয়েন্ট আগামী ৫ বছর বজায় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট খাতায় যোগ হলেই ১২ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হবে কেপ টাউন। অর্থাৎ, ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট সংগ্রহ করা মানেই অন্তত ১২ মাস সেই মাঠে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হবে না।
উল্লেখ্য, কেপ টাউন টেস্টে শুরুতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ২৩.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ১৫৩ রান। তারা ৩৪.৫ ওভার ব্যাট করে। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬.৫ ওভার ব্যাট করে ১৭৬ রান তোলে। ভারত শেষ ইনিংসে ১২ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটর বিনিময়ে ৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।