অজিত আগরকারের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই নির্বাচন কমিটি সম্ভবত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর জন্য ভারতের চূড়ান্ত ১৫ জনের দল ঘোষণা করবে। যে সময়ে চলতি আইপিএলের প্রথমার্ধ শেষ হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) তরফে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল জমা দেওয়ার চূড়ান্ত তারিখ ১ মে। তবে, ২৫ মে পর্যন্ত প্রতিটি দলই এক জন প্লেয়ার বদলনোর সুযোগ পাবে।
পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিসিসিআই ২০২৪ আইপিএলের লিগ পর্বের প্রথমার্ধের শেষে তাদের স্কোয়াড বাছাই করবে, যাতে নির্বাচকদের কাছে বাছাই করা প্রতিটি খেলোয়াড়ের ফর্ম এবং ফিটনেসের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। প্রতিবেদনে আরও যোগ করা হয়েছে যে, এবারের আইপিএলের প্লে-অফে যে সমস্ত প্লেয়াররা খেলবেন না, তাঁরা আমেরিকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ২০১৫ সালের পর চিন্নাস্বামীতে কখনও KKR-কে হারাতে পারেনি RCB, বেঙ্গালুরুতে দাদাগিরি বজায় থাকল নাইটদের
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআই-এর সিনিয়র এক কর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হয়তো ভারতীয় দল বাছাই করা হবে। যে সময়ে আইপিএলের প্রথমার্ধ শেষ হবে এবং জাতীয় নির্বাচন কমিটি প্রতিযোগীদের ফর্ম এবং ফিটনেস মূল্যায়ন করার অবস্থানে থাকবে।’
সেই কর্তা আরও যোগ করেছেন, ‘ক্রিকেটারদের প্রথম ব্যাচ ১৯মে আইপিএলের লিগ পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। যে সমস্ত খেলোয়াড়দের দল চূড়ান্ত চারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে না ,তারা তাড়াতাড়ি চলে যাবে, যেমনটি গত বছর ডব্লিইটিস ফাইনালের সময়ে হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: RCB-কে হারিয়ে এক লাফে দুইয়ে উঠল KKR, শীর্ষস্থান হাতছাড়া করছে না CSK, হেরে চাপে কোহলিরা
১৫-সদস্যের স্কোয়াড ছাড়াও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী বাকিদের মতো ভারতীয় দল কিছু স্ট্যান্ড-বাই প্লেয়ারকেও দলে রাখবে, যাতে মূল স্কোয়াডের কোনও খেলোয়াড়ের চোট হলে বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে ইভেন্ট থেকে ছিটকে গেলে, যাতে লজিস্টিকের সমস্যা এড়িয়ে দ্রুত পরিবর্ত ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া যায়।
পিটিআই উল্লেখ করেছে যে, চার সদস্যের নির্বাচক কমিটি সক্রিয় ভাবে ২০২৪ আইপিএলের ম্যাচগুলিতে চোখ রাখছে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য তারা ভেন্যুতেও উপস্থিত থাকছে।
জানা গিয়েছে যে, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কোনও প্লেয়ারকেই আপাতত কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কারণ এই দুই মাস তাঁরা ফ্র্যাঞ্চাইজির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সূত্রের দাবি, ‘অবশ্যই যদি কোনও কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় আহত হয়, তবে তার মামলা স্বয়ংক্রিয় ভাবে এনসিএ-র মেডিসিন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স দলের আওতায় চলে আসবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় এবং লক্ষ্যযুক্ত খেলোয়াড়দের জন্যও দলেক কোচ এবং ফিজিওদের যোগাযোগ রাখতে হবে এনসিএ-র সঙ্গে। কিন্তু খেলোয়াড়রা যখন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়, তখন বিসিসিআই নির্ধারণ করতে পারে না, তারা ক'টি ম্যাচ খেলবে। বোলারদের যেখানে মাত্র চার ওভার করে বল করতে হয়।’