IPL 2024: আমি মনে করি ও… এটাই কি শেষ মরশুম ধোনির? মাহির ফিটনেস নিয়ে মুখ খুললেন পাঠান

ইতিমধ্যেই আসন্ন আইপিএল মরশুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ধোনি। এটাই কি শেষ আইপিএল ক্যাপ্টেন কুলের জন্য? এই নিয়ে মুখ খুললেন পাঠান।

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি- এপি 

আইপিএল নিয়ে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই তারা নিজেদের প্রিয় তারকাদের দেখতে পাবে মাঠে পারফর্ম করতে। এমনকী বহু দলের ক্রিকেটাররা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু তারপরেই শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ, তাই সেই টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন থেকেই নেটে ঘাম ঝড়াতে শুরু করে দিয়েছে বহু ক্রিকেটার।

এরই মাঝে আসতে থাকে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুশীলনের ভিডিয়ো। ব্যাট হাতে ধোনির প্র্যাকটিস দেখে অনেকেই মনে করছেন যে আসন্ন মরশুমে কিছু করে দেখাতে পারেন তিনি। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মাহির ফিটনেস নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। টাইমস নাও-য়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন যে বয়স অনেক হলেও মাহি এখনও ফিট রয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, আরও জানালেন যে তিনি আশা করছেন প্রাক্তন অধিনায়ক আরও অনেকদিন খেলবে।

ইরফান পাঠান বলেন, 'আমার মাসখানেক আগে ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওর চুল আগের চেয়ে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এবং ও সেটাকে বাড়াচ্ছেও। ও পুরনো দিনে ফিরে যেতে চায় এবং সত্যি বলতে গেলে ওকে বেশ ফিট লাগছে। যার বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে এবং সে যদি এখনও ফিট হয়, তাহলে আমি মনে করি নিজের জন্য, নিজের ভক্তদের জন্য এবং নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আগামী দিনে খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত।'

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহি নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, 'আমি বরাবরই মনে করি যে অধিনায়ক হিসেবে সম্মান পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটা কোনও চেয়ার বা র‍্যাংকের সঙ্গে আসেনা। এটা আসে নিজের কাজ দিয়েই। অনেক সময় দেখা যায় কি যে দলের আপনার উপর বিশ্বাস রয়েছে, কিন্তু আপনার নিজের উপর বিশ্বাস নেই। তাই আমার মতে সম্মান কোনও দিনও চেয়ে পাওয়া যায় না, সেটা আদায় করে নিতে হয়। এই ব্যাপারটাই এসে গেলে, পারফরম্যান্স এমনি ভালো হয়ে যায়। একজন অধিনায়কের বড় কাজ হল দলের সব ক্রিকেটারদের বোঝা যে ওদের ক্ষমতা কতটা বা ওদের দুর্বলতা কোনদিকে। অনেকে চাপ নিয়ে খেলতে পারে আবার অনেকে চাপ একেবারেই নিতে পারেনা। একবার যদি আপনি সেটা বুঝে যান, তাহলে ব্যাপারটা সহজ হয়ে যায়। সেই ক্রিকেটারের দুর্বলতার উপর আপনি কাজ করতে পারবেন, তাকে না জানিয়েই। এর থেকে যেই জিনিসটা ভালো হয়, সেটা হলো সেই খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং এর সঙ্গে আগ্রহটাও বাড়ে।'