এমন ছবি খুব একটা দেখা যায় না। বুধবার IPL 2024-এর আট নম্বর ম্যাচে দেখা গেল সেই বিরল ছবি। আসলে এদিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি ইন্টারন্যাশানাল স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেখানেই এক অন্য মেজাজে দেখা গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অন্যতম কর্ণধার কাব্য মারানকে। আর হবে নাই বা কেন, দল যেভাবে জিতেছে তাতে নিজের খুশি লুকিয়ে রাখতে পারলেন না তিন। কাব্য মারানের এই আনন্দটা ছিল একেবারে অন্যরকম। সানরাইজার্সের জয়ের পর কাব্য মারানের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। তাঁকে স্টেডিয়ামে নাচতেও দেখা যায়।
আসলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের বড় জয়ের পর আনন্দে লাফিয়ে উঠেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কর্ণধার কাব্য মারান। দলের রোমাঞ্চকর জয়ের পরে, তাকে স্টেডিয়ামে নাচতেও দেখা গেছে। কাব্য মারানের সেই ভিডিয়োটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে। অনেকে লেখেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ।’
আরও পড়ুন… ছোটবেলাতেই রিজভি পেয়েছিলেন রায়নার সান্নিধ্য, দেখুন CSK-এর প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে মিল
স্কোর বোর্ডে এত রান ও তারপরে দলের জয় দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালকিন। স্টেডিয়ামে নাচতে থাকে তিনি। এই ছবি ক্যামেরায় ধরা পরে যায় ও সেটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে থাকে। আসলে কাব্য মারানকে এভাবে খুব কমই দেখা যায়। তাঁকে সব সময়ে চুপচাপই দেখা যায়। কারণ গত কয়েক বছর ধরে তাঁর দল খুব একটা ভালো পারফরমেন্স করছে না। তবে এদিনের খেলার সময় ও পরে অন্য কাব্য মারানকে দেখল ক্রিকেট ভক্তেরা।
চলুন এই ম্যাচের কথা জেনে নেওয়া যাক। হাই স্কোরিং এই ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৩১ রানে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর করার পরেও, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাদেরকে এই চ্যালেঞ্জটা দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিন প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে। জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের রাস্তায় নিজেদেরকে টিকিয়ে রেখেছিল। তারা ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান তোলে।
এটি আইপিএলে মুম্বইয়ের সর্বোচ্চ স্কোরও। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন তিলক বর্মা। এই ম্যাচে আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (৩৮) মারার রেকর্ডও তৈরি হয়েছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বড় স্কোরের জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বিস্ফোরক শুরু করে। তবে চতুর্থ ওভারে ইশান কিষানের ফর্মে প্রথম ধাক্কা খায় দলটি। ৩৪ রান করে আউট হন ইশান। ১২ বলে ২৬ রান করেন রোহিত শর্মা। ১৪ বলে ৩০ রানের অবদান রাখেন নামান ধীর। ৩৪ বলে ৬৪ রানের শক্তিশালী ইনিংস খেলে মুম্বইয়ের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন তিলক বর্মা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ২০ বলে ২৪ রান করেন। ২২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন টিম ডেভিড। রোমারিও শেফার্ড ১৫ রানের অবদান রাখেন।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: শিবম আউট হতেই মাঠে এলেন রিজভি! ধোনি নাকি রুতুরাজ, বোঝা গেল CSK-র আসল নেতা কে?
এর আগে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রথমে ব্যাট করে। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা এবং এইডেন মার্করামের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে তারা। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তিন উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান করেছিল। যা ছিল আইপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। প্রথমে ব্যাট করতে আসা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শুরুটা ভালো ছিল। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ট্র্যাভিস হেডের মধ্যে প্রথম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ওঠেছিল। ১৩ বলে ১১ রান করেছিলেন মায়াঙ্ক। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ট্র্যাভিস হেড। ২৪ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। অভিষেক ১৬ বলে ফিফটি করেছেন এবং তিনি সানরাইজার্সের হয়ে দ্রুততম ফিফটি করার খেলোয়াড় হয়েছেন। ২৩ বলে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষেক। এনরিখ ক্লাসেন ২৩ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মার্করাম ২৮ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ফিরেন, এনরিক ক্লাসেন ৩৪ বলে ৮০ রান করেন।