শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ফয়সালা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে ৩-১ ফলে। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র ধর্মশালা টেস্ট। এই সিরিজে চোট আঘাতের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কারণেও ভারতীয় দল একাধিক তারকাকে দলে পাওয়া যায়নি। ছিলেন না বিরাট কোহলি। প্রথম টেস্টের পর পাওয়া যায়নি কেএল রাহুলকে। একটি টেস্ট খেলেননি রবীন্দ্র জাদেজা। গোটা সিরিজে খেলতে পারেননি মহম্মদ শামি। এমন আবহে দলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুটা হলেও অভিজ্ঞ ইশান কিষানকে এই সিরিজে খেলাতে চেয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট! সেই মত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল। কী জানিয়েছিলেন কিপার ব্যাটার? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: শ্রেয়স এবং ইশান কেন্দ্রীয় চুক্তি ফিরে পেতে পারেন, কী ভাবে? জানালেন BCCI-এর এক কর্তা
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের তরফে লেখা হয়েছে, ইশান কিষানকে ইংল্যান্ড সিরিজ খেলার বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে ইশান জানিয়ে দেন, তিনি এখনও মানসিক ভাবে খেলতে প্রস্তুত নন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর চলাকালীন মানসিক ক্লান্তির কারণ দেখিয়ে মাঝপথেই দেশে ফিরে এসেছিলেন ইশান কিষান। সেই মানসিক ক্লান্তি পুরোপুরি না কাটার ফলে তিনি যে জাতীয় দলের হয়ে এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে প্রস্তুত নন, জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এর পরেই দলে সুযোগ দেওয়া হয় ধ্রুব জুরেলকে। বাকি গল্পটা সবার জানা।
নিজের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্টে রাঁচিতে প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ৯০ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে লড়াইতে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৩৯ রান করে শুভমন গিলের সঙ্গে জুটিতে ভারতের টেস্ট জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেন। ঘটনাচক্রে এই সময়ে বেশ কয়েক বার বিতর্কের সম্মুখীন হন ইশান কিষান। বিসিসিআইয়ের বারবার নির্দেশ, কড়া নির্দেশের পরেও ইশান রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি। প্রায় এক পদ্ধতি অবলম্বন করেন শ্রেয়স আইয়ারও। তিনিও পিঠে ব্যথার অজুহাত দেখিয়ে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে খেলতে নামেননি।এর পরপরেই ঘোষণা করা হয় বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নাম। ভারতীয় নির্বাচকদের পরিকল্পনাতে থাকলেও, এই তালিকায় জায়গা পাননি শ্রেয়স আইয়ার এবং ইশান কিষান। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিসিসিআইয়ের নির্দেশ অমান্য করে রঞ্জিতে না খেলার ফলেই তাঁদেরকে এই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে অফিসিয়ালি কোনও কারণ জানানো হয়নি।