ব্যাট নিয়ে একটি খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। তখন তাঁর ব্যাটে সেঞ্চুরির খরা। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে কোহলি সেঞ্চুরি করতে পারছিলেন না। সেই সময়ে কোহলিকে স্লেজ করতে ছাড়েননি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার অ্যালেক্স লিস। সম্প্রতি নিজের একটি নতুন বইতে তিনি বিরাট কোহলিকে করা স্লেজ নিয়ে মুখ খুলেছেন লিস।
২০২২ সালে ইংল্যান্ড বনাম ভারতের মধ্যে এজবাস্টন টেস্ট চলাকালীন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন অ্যালেক্স লিস। বাঁ-হাতি ব্যাটার নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি কোহলিকে তাঁর সেঞ্চুরি নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলি অবশ্য জনি বেয়ারস্টোকে স্লেজ করেন। যদি সেই টেস্টে চাপের মুখেও বেয়ারস্টো সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে তাঁর আউটের জন্য নেটিজেনরা কোহলিকে দায়ী করেছিলেন। এদিকে বিরাট সেই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর অ্যালেক্স লিস সেই টেস্টে কোহলিকে খোঁচা মারতে ছাড়েননি।
আরও পড়ুন: কোচিং স্টাফদের নিয়ে পর্বতারোহণে দ্রাবিড়, মিস করলেন দলের প্লেয়ারদের- ভিডিয়ো
সম্প্রতি নিজের নতুন বইতে বিরাট কোহলিকে করা স্লেজিংয়ের ঘটনাটি বিস্তারিত লিখেছেন অ্যালেক্স লিস। তিনি দাবি করেছেন যে, কোহলি তাঁকে বারবার স্লেজিং করেছিলেন এবং সেটি তিনি হজম করতে পারেননি। লিস লিখেছেন, ‘ও যখন ব্যাটিং করে তখন ও আমাদের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে। ম্য়াচে কারও অবস্থান নিয়ে আমি ভাবিত নই। আমরা মাঠে সবাই সমান। কেউ যখন আমাকে খোঁচা দিচ্ছে, তখন সেটা নিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম না। এটা খুবই সহজ জিনিস। ও দারুণ প্লেয়ার, তবে আমার মনে হয়েছিল, সেই সময়ে ও বাড়াবাড়ি করছিল। এরপর আমি ওর দিকে ঘুরে বলি, তোমার শেষে সেঞ্চুরির পর থেকে আমার দু'টো সন্তান হয়ে গেল।’
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এজবাস্টনে ১১ এবং ২০ রানের হতাশাজনক ইনিংস খেলেছিল। সেই টেস্টে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৭৮ রেকর্ড রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচটি হেরে যায় ভারত। কোহলি নিজে রীতিমতো চাপে ছিলেন। তাই লিস মনে করেছিলেন, তিনি অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক না হয়ে, প্রতিযোগিতামূলক হতে পারতেন।
এই বিষয়ে তাঁর যুক্তি, ‘কোহলিও একজন মানুষই। এবং আমি জানতাম যে, আমার কথা ওর সবচেয়ে খারাপ লাগবে। এবং সম্ভবত এটিই তাকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দেবে। আমি যখন ওর সাথে কথা বলেছিলাম, আমি যখন ওরসঙ্গে কথা বলি আমি ওর মধ্যে আগ্রাসনটা দেখেছিলাম। বিশেষ করে চা বিরতির পর। নিঃসন্দেহে ও বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। ও জিততে চাইছিল। আমি কোটি কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ বুঝতে পারব না, তবে মাথা ঠান্ডা রেখেও চাপ সামলানো যায়।’