জেসন হোল্ডার, কাইল মায়ের্স এবং নিকোলাস পুরান কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু ২০২৩-২৪ মরশুমে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলার জন্য তাঁরা উপলব্ধ থাকবেন, রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনটাই ঘোষণা করেছে। সিডব্লিউআই কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা ঘোষণা করেছে, যেখানে ১৪ জন পুরুষ এবং ১৫ জন মহিলা ক্রিকেটার রয়েছেন।
পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে চার জনকে প্রথম বারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে আনা হয়েছে। এই চার জনের মধ্যে রয়েছেন- গুড়াকেশ মোতি, কেসি কার্টি, তেজনারায়ণ চন্দ্রপল এবং আলিক আথানাজে। জাইদা জেমস এবং শেনেতা গ্রিমন্ড প্রথম বারের মতো কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ মহিলা ক্রিকেটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, অথচ চুক্তি হয়নি, কারণ কী? মুখ খুললেন BCCI সচিব
জেসন হোল্ডার শেষ বার টেস্ট এবং ওডিআই খেলেছিলেন ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। যথাক্রমে ভারত এবং স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি শেষ বার খেলেছিলেন টেস্ট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোল্ডার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন ৩৭টি টেস্টে এবং ৮৬টি ওয়ানডে-তে। নিকোলাস পুরান, যিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলেননি। তবে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৬১টি ওয়ানডে-তে খেলেছেন। যার মধ্যে ১৭টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন জুলাইয়ে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কাইল মায়ের্স, যিনি ১৮টি টেস্ট এবং ২৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। তিনি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, অভিষেক ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি করে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯৫ রান তাড়া করতে নেমে মায়ের্স দ্বিশতরান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে সাহায্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া সফরে এখনও দলের সঙ্গে যোগই দেননি দীপক চাহার, হয়তো পাওয়া যাবে না পুরো সিরিজেই
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরুষ টিমের প্রধান নির্বাচক ডেসমন্ড হেইনস বলেছেন, ‘আগামী দিনে ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি রয়েছে। তিনটি ফরম্যাটেই আমরা দুই প্রধান কোচের সঙ্গে আলোচনা করব। তাঁরা কী ধরনের ক্রিকেট খেলতে চান, সেটা নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছি। আমরা যে দিকে যেতে চাই, সেই বিষয়ে আমরা খুব স্পষ্ট। চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেই প্লেয়ারদেরই, যাদের মধ্যে আমরা বিশেষ কিছু দেখার বিষয়ে আশাবাদী। কারণ আমরা যখন ঘরের মাঠে হতে চলা আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর আয়োজক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করব। আমরা শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জিং দল গড়ার পথেই হাঁটব।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজও আছে। এই দু'টি বড় অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে। ৫০-ওভারের ফর্ম্যাটে আমরা আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৭-এর লক্ষ্যে খেলোয়াড়দের তৈরি করতেও চাই।’
মহিলাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, মহিলাদের প্রধান নির্বাচক অ্যান ব্রাউন-জন বলেছেন, ‘নির্বাচকেরা এমন খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে তারা। আমরা তরুণ খেলোয়াড়দের বিকাশের উপর জোর দিয়েছি, যেটিকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’