শুভব্রত মুখার্জি: ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই তাঁর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। স্টেডিয়ামের গ্যালারি সংস্কার থেকে মাঠের সংস্কার সবকিছুই চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের ২২ গজ একটু হলেও ব্যাটিং সহায়ক। মাঝেমধ্যে স্পিন বোলাররাও সহায়তা পেয়ে থাকেন। তবে ওডিআই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি যে নির্দেশ পিচ প্রস্তুতকারকদের দিয়েছে, তাতে ঘুম উড়তে বাধ্য বোলারদের। আইসিসি একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে।
তবে আইসিসি এখানেই থেমে থাকেনি। ম্যাচে যাতে বড় রান ওঠে, দর্শকেরা যাতে আরও বেশি উপভোগ করতে পারেন খেলা, তার জন্য আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে। বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৭০ ইয়ার্ড করার কথা বলা হয়েছে। যদি বৃষ্টি হয় যাতে করে গোটা মাঠ ঢেকে ফেলা যায় সেই ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আইসিসির পিচ বিষয়ক পরামর্শদাতারা স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারকদের একেবারে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত বুধবার এই বিষয়ে মুম্বইয়ে একটি উপস্থাপনাও করেছেন আইসিসির পিচ বিষয়ক পরামর্শদাতা অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ওডিআই বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করতে চলা প্রতিটি ভেন্যুর পিচ প্রস্তুতকারকেরা।
আরও পড়ুন: কোহলিকে চারে নামালে ভারতের ক্ষতি- রবি শাস্ত্রীর থিয়োরি উড়িয়ে দিলেন আর এক প্রাক্তনী
১২টি ভেন্যুর মধ্যে ৯টি ভেন্যুর পিচ কিউরেটাররা এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বাইরে থেকে যদি কোনও চাপ আসে যে, নির্দিষ্ট ম্যাচে পিচের ঘাস ছেঁটে ফেলা হোক সেটা যাতে কোন মতেই যেন না শোনা হয়। ৬০-৪০ অনুপাতে পিচ বানাতে বলা হয়েছে, যাতে ব্যাটাররা বেশি সুবিধে পান। ম্যাচে বড় রান ওঠে। শেষ কয়েকটি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন গড় রান উঠেছিল ২০১১ সালে বিশ্বকাপে। ওই বিশ্বকাপ ভারত যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল। ওই বিশ্বকাপের গড় প্রথম ইনিংসে রান ছিল মাত্র ২৪৯। সেখানে ২০১৫ সালে এই গড় ছিল ২৭৪ রান। ২০১১ সালে গড় রানরেট ছিল ৫.০৩, ২০১৫ সালে ছিল ৫.৬৫, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ৫.৬৯ রান প্রতি ওভার। তাই এই দিকটা মাথায় রেখেই আইসিসির তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আউটফিল্ডের ঘাসকেও খুব বেশি ছাঁটতে বারণ করা হয়েছে। বল যাতে আউটফিল্ডে দ্রুত গতিতে যায় সেই কারণে অনেক সময়েই ঘাস ছোট করে ছাঁটা হয়। সেটা করতেও বারণ করা হয়েছে। কারণ এতে ফিল্ডারদের ডাইভ দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টাও অনেকটাই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য নূন্যতম ৭০ ইয়ার্ড এবং সর্বোচ্চ ৮০ ইয়ার্ডের মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। যেসব ভেন্যুতে আউটফিল্ডের তলার লেভেলে বালি নেই অর্থাৎ বৃষ্টি হলে জল শোষন ক্ষমতা কম, তাদেরকে গোটা মাঠ বৃষ্টির সময়ে ঢাকার বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য অক্টোবর মাসে বিশ্বকাপ হলেও ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে ওয়ার্ম আপ ম্যাচের লড়াই।
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।