কুইন্টন ডি'ককের হাফ-সেঞ্চুরি ও নিকোলাস পুরানের ঝোড়ো ব্যাটিং আরসিবির বিরুিদ্ধে লখনউকে বড় রানের ভিতে বসিয়ে দেয়। যদিও চিন্নাস্বামীতে ১৮১ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। তার উপর হোম টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, নিজেদের দিনে যে কোনও টার্গেট তাড়া করার ক্ষমতা রাখে তারা।
সুতরাং, মঙ্গলবার লখনউয়ের জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব প্রাপ্য তুলনায় বেশি। বিশেষ করে তরুণ পেসার মায়াঙ্ক যাদব যেভাবে নিজের আগুনে গতি দিয়ে আরসিবির ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন, তার যত প্রশংসাই করা হোক, কম হবে। লখনউয়ের তরুণ তুর্কি ধারাবাহিকভাবে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করেন। ১৫৫ কিলোমিটারের গণ্ডি ছাড়িয়ে তিনি চমকে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিনের মতো তারকা ব্যাটারদের।
ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন মায়াঙ্ক যাদব। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। কোনও তরুণ বোলার এমন পারফর্ম্যান্স মেলে ধরলে যে কোনও ক্যাপ্টেনেরই আপ্লুত হওয়া স্বাভাবিক। ম্যাচের শেষে তাই মায়াঙ্কের পারফর্ম্যান্স নিয়ে যারপরনাই তৃপ্ত শোনায় লোকেশ রাহুলকে।
যদিও এমন আগুনে গতির বোলার দলে থাকার সাইড এফেক্টের কথাও শুনিয়ে যান লখনউ দলনায়ক। নেটে ব্যাট করার সময়েই হোক অথবা কিপিংয়ের সময়ে, সতর্ক না থাকলেই যে বল আঘাতে চোখে সর্ষেফুল দেখতে হয়, সেটা মনে করিয়ে দেন লোকেশ।
আরসিবি ম্যাচের শেষে দলের তরুণ স্পিডস্টারকে নিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমাকেও খুব জোরে একটা বল লেগেছিল। গত ২টি ম্যাচে মায়াঙ্ক যেভাবে বল করেছে, তা দেখে সত্যিই খুশি। গত ২টি মরশুম ধৈর্ষ্যের সঙ্গে ডাগ-আউটে অপেক্ষা করেছে ও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত বছর চোটের জন্য ও মাঠে নামতে পারেনি। ও বোঝে ১৫৫ কিলোমিটারে বল করা মোটেও সহজ নয়। তার উপর কম বয়সেই ওকে চোট-আঘাতের কবলে পড়তে হয়েছে।’
আরও পড়ুন:- প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের মাটিতে ৩০০ T20 ম্যাচ কার্তিকের, কোহলিও গড়লেন অনন্য নজির
রাহুল আরও যোগ করেন, ও রীতিমতো পেশাদার মানসিকতা নিয়ে নিজের শরীরের দিকে নজর দেয়। ফিজিয়োর সঙ্গে বিস্তর পরিশ্রম করে। ওর ধৈর্য অসীম। স্টাম্পের ২০ গজ পিছনে দাঁড়িয়ে ওর বোলিং উপভোগ করছিলাম। ও যখন বল করছিল, সম্ভবত আমি অত দূরেই দাঁড়িয়েছিলাম।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার চিন্নাস্বামীতে শুরুতে ব্যাট করে লখনউ ৫ উইকেটে ১৮১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ১৫৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় আরসিবি। ২৮ রানে ম্যাচ জেতে লখনউ।