শুভব্রত মুখার্জি:- বর্তমানে অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দল। গত ওডিআই বিশ্বকাপেও অত্যন্ত জঘন্য পারফরম্যান্স করেছে পাক দল। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের। এরপর কোচ, অধিনায়ক, কর্মকর্তা একেবারে সবক্ষেত্রেই ঢেলে সাজানো হয়। তারপরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল দল। সেখানেও টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে তাদের। এই টেস্ট সিরিজে দল স্পিনার আবরার আহমেদকে খেলাতেই পারেনি। চোটের কারণে গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে যান তিনি। মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ অমান্য করেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই এবার পিসিবির শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন আবরার। এমন ভাবনা চিন্তা করছেন পিসিবির কর্তারা।
আবরারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে অজিভূমে ভুগতে হয়েছে পাক দলকে। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা বিশেষজ্ঞ স্পিনারের সার্ভিস মিস করেছে দল। আর এই কারণেই আবরারকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে পিসিবি। মেডিক্যাল প্যানেলের তরফে তাঁকে রিহ্যাবের কথা বলা হয়েছিল। তাঁর নার্ভের একটা সমস্যা রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিল ডাক্তাররা। সেই কারণেই তাকে রিহ্যাবের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যে পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব না দিয়ে নিজের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন আবরার। গত ওডিআই বিশ্বকাপের সময়ে যখন তিনি ভারতে ছিলেন সেই সময় থেকেই তাঁর রিহ্যাব করার কথা থাকলেও তা করেননি আবরার।
বোর্ডের মেডিক্যাল দলের তরফে জাতীয় দলের ডাক্তার, ফিজিও এবং প্রশিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারা সকলেই বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা করেছে পিসিবির কাছে। যেখানে রিহ্যাবের প্রসেসে আবরারের গা ছাড়া মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য অজি সফরের টেস্ট সিরিজে আবরারকে দলের সঙ্গেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি খেলতে পারেননি। তাঁর এই চোটের কারণে পরবর্তী নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেও ছিটকে গিয়েছেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে তাঁকে বাড়ি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাইটিকার সমস্যায় ভুগছেন আবরার। এর ফলে তাঁর কোমরের নীচের অংশে সমস্যা হচ্ছে। পাকিস্তানে ফিরে আবরার জাতীয় অ্যাকাডেমিতে যোগ দেবেন। সেখানেই চলবে তাঁর রিহ্যাব। সেখানে তাঁকে প্রতিদিন মেডিকেল দল পর্যবেক্ষণ করবে। গত বছর বিশ্বকাপের সময়ে যখন পাক দল ভারতে ছিল তখন প্রথম এই সমস্যা দেখা দেয়। হায়দরাবাদে তাঁর স্ক্যান করানোর পরে এই সমস্যা ধরা পড়েছিল।