মাঠে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর, টিম ইন্ডিয়া পরের দুই ম্যাচে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছে এবং ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে। এই সবের মধ্যেই টিম ইন্ডিয়ার কিছু খেলোয়াড় মাঠের বাইরে তাদের আচরণ এবং বিসিসিআই-এর নির্দেশ উপেক্ষা করার কারণে খবরে রয়েছেন। ইশান কিষানের ঘটনা সকলের সামনে এসেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন আরও একটি নাম। সেটি হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের নাম। টিম ইন্ডিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে এমনই রিপোর্ট সামনে এসেছে, যার জেরে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন শ্রেয়স আইয়ার নাকি মিথ্যা বলছেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার অংশ ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার। পরের ৩ ম্যাচের জন্য দলে জায়গা পাননি তিনি। দ্বিতীয় টেস্টের পরে, তিনি পিঠে ব্যথার অভিযোগ করেছিলেন, যার পরে অনুমান করা হয়েছিল যে এই কারণে তিনি দলে জায়গা পাননি। তবে, শুধু ব্যথা নয়, সেটি ছাড়াও তাঁর বর্তমান ফর্ম ছিল এর বড় কারণ। সেই কারণে নির্বাচক কমিটি তাঁকে রঞ্জি ট্রফি খেলে তার কাজের চাপ সামলাতে বলেছিলেন।
শ্রেয়স পুরোপুরি ফিট, নতুন কোনও চোট নেই
আশা করা হয়েছিল যে শ্রেয়সকে রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে দেখা যাবে কিন্তু প্রথমে তিনি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি এড়িয়ে যান এবং এখন তিনি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচও খেলতে অস্বীকার করেন। পিঠে ব্যথার কারণে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে না পারার কথা মুম্বই নির্বাচকদের জানিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। এবার এ বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত বিসিসিআইয়ের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নির্বাচক কমিটিকে জানিয়েছে যে আইয়ার নতুন কোনও চোট পাননি এবং তিনি ফিট।
NCA-র রেকর্ডে কী বলা হয়েছে?
এনসিএ-র স্পোর্টস সায়েন্স ডিভিশনের প্রধান এবং টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান ফিজিও নীতিন প্যাটেল একটি ইমেলে বোর্ডকে এই কথা জানিয়েছেন। পিঠে ব্যথার কারণে শ্রেয়স আইয়ারের রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্তের একদিন পর তার এই ইমেলটি এসেছে। এই ইমেলে প্যাটেল লিখেছেন যে, দ্বিতীয় টেস্টের পর টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের ফিটনেস রিপোর্টে শ্রেয়স আইয়ার ফিট ছিলেন এবং তিনি নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ ছিলেন। শুধু তাই নয়, ইমেলে আরও বলা হয়েছে যে টিম ইন্ডিয়া থেকে বাদ পড়ার পরেও শ্রেয়স নতুন কোনও চোট পাননি।
শ্রেয়স কি তাহলে মিথ্যা বলেছেন?
এখন এই রিপোর্টের পর প্রশ্ন উঠছে শ্রেয়স কি রঞ্জি ম্যাচ না খেলার জন্য মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে চোটের মিথ্যা অজুহাত তৈরি করেছিলেন? অথবা ব্যথা আবার দেখা দিয়েছে কিন্তু তিনি এনসিএকে অবহিত করেননি, যা কেন্দ্রীয় চুক্তি সহ খেলোয়াড়দের জন্য বাধ্যতামূলক। এই বিষয়টি এমন সময়ে এসেছে যখন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ কেন্দ্রীয় চুক্তি এবং ভারত এ খেলোয়াড়দের কঠোর সতর্কবাণী দিয়েছেন যে তাদের ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেট খেলতে হবে। যা নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হতে চলেছে। জয় শাহ সমস্ত খেলোয়াড়দের কাছে একটি চিঠিতে বলেছিলেন যে খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এই প্রবণতা খারাপ এবং যারা এটি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।