ইনিংসের শেষ দুই ওভারে খেলার রং বদলে দিলেন নিকোলাস পুরান। ১৮তম ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৮ রান ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে নিকোলাস পুরান ঝড়ে এলএসজি-র স্কোর পৌঁছে গেল ৫ উইকেটে ১৮১ রানে।
আরও পড়ুন: CLT20 কি ফিরতে চলেছে? উদ্যোগী BCCI, CA, ECB, মিলল বড় আপডেটও
এর মধ্যে পুরান ১৯তম ওভারে রিস টপলির বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক করেন। ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে রিস টপলিকে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এর মধ্যে শেষ ১৮.৪ ওভারে যে ছক্কাটি পুরান ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে মারেন, সেটি স্টেডিয়ানের বাইরে গিয়ে পড়ে। ১০৬ মিটার লম্বা ছক্কা ছিল এটি। এই মরশুমে এটি যুগ্মভাবে এটি সবচেয়ে লম্বা ছক্কা হাঁকানোর নজির। এই মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বেঙ্কটেশ আইয়ারও এমনই ১০৬ মিটার লম্বা একটি ছক্কা মেরেছেন। এই ছক্কা দু'টি এই মুহূর্তে এবার আইপিএল সবচেয়ে লম্বা।
শেষ ওভারেও পুরান মহম্মদ সিরাজকে ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সব মিলিয়ে পাঁচে নেমে ৫টি ছক্কা এবং ১টি চারের হাত ধরে পুরানের ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রানের হাত ধরে লখনউ সুপার জায়ান্টস অক্সিজেন পায়। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে এলএসজি টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের লড়াই করার মতো ইনিংস খেলতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: এবার মিলিটারি ট্রেনিংয়ে বাবর আজমরা, ব্যাপারটা কী?- ভিডিয়ো
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি এলএসজি। তারা ৫.৩ ওভারেই প্রথম উইকেটে ৫৩ রান করে ফেলেছিল। কিন্তু রাহুল এদিনও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২টি ছয়ের হাত ধরে ১৪ বলে ২০ করে সাজঘরে ফিরেন কেএল। তিনে ব্যাট করতে নেমে ফের ব্যর্থ হন দেবদূত পাডিক্কালও। তিনি ১১ বলে ৬ করে আউট হয়ে যান। তবে স্কোরবোর্ডকে সচল রেখেছিলেন কুইন্টন ডি'কক। মার্কাস স্টোইনিসের সঙ্গে যখন তিনি ভালো পার্টনারশিপ করার পথে, সেই সময়ে ফের ধাক্কা খায় লখনউ। ১৫ বলে ২৪ করে সাজঘরে ফিরে যান স্টোইনিস। এর পর ৫৬ বলে ৮১ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি'ককও।
এদিন চিন্নাস্বামীতে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ডি'ককও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজের তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ বছর বয়সী তারকা এই কৃতিত্বটি অর্জন করেছেন তাঁর ৯৯তম আইপিএল ম্যাচে। ডি'কক আউট হওয়ার পর নিকোলাস পুরান ঝড় তুলে লখনউকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন।