শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেট এই মুহূর্তে একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চোট আঘাতের জন্যও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ কিছু পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। তবে পরিবর্ত হিসেবে দলে যারাই এসেছেন তারা প্রায় সকলেই ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, বা করার চেষ্টা করেছেন। সরফরাজ খান সুযোগ পেয়েই রাজকোটে দুই ইনিংসে দুটি অর্ধশতরান করে স্পর্শ করেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে। চলতি রাঁচি টেস্টে অভিষেক হয়েছে পেসার আকাশদীপের। তিনিও প্রথম ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছেন। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেল। রাজকোট টেস্টেই অভিষেক হয়েছিল তাঁর। আর রাঁচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে এক অনবদ্য ৯০ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ম্যাচে লড়াইতে ফিরিয়ে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি। তবে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে শতরান। তবে তাতে একটুও অখুশি নন ধ্রুব। বরং জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট সিরিজ জেতাই যে তাঁর লক্ষ্য তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৬ রান করেছিলেন ধ্রুব। কিপিংয়েও কেড়েছিলেন নজর। তবে রাঁচিতে যে ইনিংসটি তিনি খেললেন তাঁর জন্য কোন প্রশংসাই একেবারে যথেষ্ট নয়। নিজের কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে টেল এন্ডারদের নিয়ে যেভাবে ব্যাট করলেন তিনি তা নজর কেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। একটা সময়ে মনে হয়েছিল ইংল্যান্ড দল হয়তো ১০০'র ও বেশি রানে লিড নিতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে কুলদীপ যাদবদের সঙ্গী করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান তিনি। খেলেন অনবদ্য একটি ইনিংস। তবে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় তাঁর শতরান। স্পিনার টম হার্টলের দুরন্ত বলে লাইন বুঝতে না পেরে বোল্ড আউট হয়ে যান। নিজের দ্বিতীয় টেস্টেই অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও একেবারেই আফসোস করছেন না ধ্রুব জুরেল।
ম্যাচ শেষে এদিন তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘আমি যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সত্যি কথাটা বলি তা হল আমার সত্যি কোনও ধরনের কোন আফসোস নেই। আমার কেরিয়ারের এটা প্রথম টেস্ট সিরিজ। আমার মধ্যে একটা বিষয়েই মরিয়াভাব রয়েছে আর তা হল সিরিজের ট্রফিটা জয়। আমার স্বপ্ন নিজে হাতে এই সিরিজের ট্রফিটা তুলে ধরা। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমার যে স্বপ্নটা ছিল তা হল জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা।’ ধ্রুব জুরেল এদিন ১৪৯ বল খেলেছেন, করেছেন ৯০ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ছয়টি চার এবং চারটি ছয়ে। কুলদীপ যাদবকে সঙ্গী করে এদিন তিনি ভারতের হয়ে অষ্টম উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে ভারতকে লড়াইতে ফেরান।