শুভব্রত মুখার্জি:- ধরমশালাতে পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের ফয়সালা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। মাত্র আড়াই দিনে টেস্ট ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল। এক ইনিংস এবং ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে রোহিত শর্মা বাহিনী। পাশাপাশি সিরিজও তারা জিতে নিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। ইংল্যান্ডের ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজির ক্রিকেট একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি সিরিজে। বরঞ্চ অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে বারবার পতনের সম্মুখীন হয়েছে ইংল্যান্ড ব্যাটিং। ধরমশালা টেস্ট ও তার ব্যতিক্রম নয়।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের। একটা সময়ে জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন নবীন স্পিনার শোয়েব বশির। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ ও গড়েছিলেন তারা। তবে দলের পতন রুখতে পারেননি। আর এই দ্বিতীয় ইনিংসেই বোল্ড হয়ে যাওয়ার পরেও ডিআরএস চেয়ে বসেন শোয়েব বশির। যা দেখে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তো বটেই নন স্ট্রাইকার জো রুটও হেসে ফেলেন। হাসির রোল উঠতে দেখা যায় ইংল্যান্ড ড্রেসিংরুমেও।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? বোলিং করছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁর ওভারেই এই আজব ঘটনাটি ঘটে। ধরমশালা টেস্টের তৃতীয় দিন ঘটেছে এই ঘটনা। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন আট উইকেটে ১৮৯/৮। ৪৬ তম ওভারে বোলিং করছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ওভারের পাঁচ নম্বর বলে স্ট্রাইকে আসেন বশির। জাদেজা অফ স্ট্যাম্পের কাছাকাছি একটি ফুল লেন্থের ডেলিভারি করেন। শোয়েব বশির ব্যাট নামানোর আগেই বল ঢুকে যায়। গিয়ে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের দিকের অংশে আঘাত করে। বেল তৎক্ষণাৎ পড়ে যায়। বোল্ড আউট হয়ে বুঝতে পারেননি বশির। তিনি তৎক্ষণাৎ ডিআরএস চেয়ে বসেন। বশিরের বোকামি দেখে হেসে ফেলেন নন স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা জো রুট। ক্যামেরা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় ইংল্যান্ডের সাজঘরেও ততক্ষণে হাসির রোল উঠেছে।
আসলে শোয়েব বশির যে বোল্ড হয়েছেন তা তিনি বুঝতেই পারেননি। তাঁকে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত মনে হয়। হয়ত তিনি ভেবেছিলেন তাঁকে স্ট্যাম্প আউট করার চেষ্টা করেছেন ভারতীয় কিপার ধ্রুব জুরেল। আর সেই কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত রিভিউয়ের চেষ্টা করেন। উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা রুট হাসতে হাসতে বশিরকে ইশারা করে বোঝান তিনি বোল্ড হয়ে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ১৩ রান করে ফিরতে হয় বশিরকে। এর কয়েক ওভার পরেই ম্যাচ শেষ করে ফেলে ভারতীয় দল। ৪৯ ওভারে তাঁরা ইংল্যান্ড দলকে অল আউট করে দেয় দেয় ১৯৫ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে একমাত্র বলার মতো রান করেছেন জো রুট। তিনি ৮৪ রান করে কুলদীপ যাদবকে মারতে গিয়ে জসপ্রীত বুমরাহের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ১০০তম টেস্ট খেলা রবিচন্দ্রন অশ্বিন পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন।