ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপকে ঘিরে উন্মাদনা দেখা দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গ্রুপ পর্বের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে টিকি বিক্রি শুরু হয়েছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়া মাত্রই সব শেষ হয়ে গিয়েছে। টিকিট বিক্রির হার দেখে এটা স্পষ্ট হয়েছে, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপের উন্মাদনা কতটা।
এর আগে ২০১১ সালে ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা যৌথ ভাবে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করে। কিন্তু এবার একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। ২০১১ সালে শেষবার বিশ্বকাপ জেতে টিম ইন্ডিয়া। তারপর ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আইসিসির ট্রফি দেখা পায়নি ভারতীয় দল। অধিনায়ক বদল হয়েছে, সেই সঙ্গে বদলেছে কোচও। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। খেতাবের কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে।
এবার ফের একবার সুযোগ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সামনে বিশ্বকাপ জয় পাওয়ার। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিম ইন্ডিয়ার কাছে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হচ্ছে, ফলে টিকিটের চাহিদা তো থাকবেই। তবে এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি টিকিটের চাহিদা রয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। যা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ অক্টোবর আমদাবাদে। দূর দূরান্ত থেকে টিকিট কাটতে হাজির হন সমর্থকরা। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের।
তেমনই এক সমর্থক ওড়িশার বাসিন্দা অভিনাশ। ২০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট কাটতে যান আমদাবাদে। কিন্তু হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। একটি টিকিটও কিনতে পারেননি তিনি। টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন অভিনাশ। তিনি বলেন, '২০০০ কিমি যাত্রা করে এসে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। আমি সত্যি খুব হতাশ। তবে আমি ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট পেতে আমি যা কিছু করতে পারি।'
আরও এক সমর্থক প্রকাশ, তিনিও ওড়িশার বাসিন্দা। আমদাবাদে গিয়ে তাঁকেও হতাশ হতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'আমিও ওড়িশা থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু টিকিট না পেয়ে আমি সত্যি খুব হতাশ।' আমদাবাদ নিবাসী এক সমর্থক কৌশিক বলেন, 'আমি গত রাত থেকে স্টেডিয়ামের বাইরে পড়ে রয়েছি। কিন্তু পরের দিন সকালেও টিকিট পাইনি। আমি চাই যারা টিকিট পাইনি, তাদের জন্য ফের যেন একবার অফ লাইন টিকিট কাউন্টার খোলা হয়।'