অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বাবা ইন্দ্রজিতের দুরন্ত সেঞ্চুরি। বরুণ চক্রবর্তী, সাই কিশোরের স্পিনের জাল। সঙ্গে তামিলনাড়ুর টিম গেমের বিস্ফোরণ। সব মিলিয়ে ধামাকাদার পারফরম্যান্স করল তামিলনাড়ু। আর তাতেই ছিটকে গেল মুম্বই। বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মুম্বইকে সাত উইকেটে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে গেল তামিলনাড়ু। শেষ চারে তারা হরিয়ানার মুখোমুখি হবে। হরিয়ানা কোয়ার্টার ফাইনালের আর এক ম্যাচে বাংলাকে চার উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দলের শূন্য রানের মাথাতেই প্রথম উইকেট হারায় মুম্বই। দিব্যাংশ সাক্সেনা ৬ বলে খালি হাতেই সাজঘরে ফেরেন। এর পর ৪২ বলে ২৪ করে হার্দিক তামোরে আউট হয়ে যান। মুম্বইয়ের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেও এদিন ব্যর্থ হন। ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ওপেন করতে নেমে জয় বিস্তা কিছুটা লড়াই করলেও, তিনি ৫৮ বলে ৩৭ করে আউট হয়ে যান। তবে প্রসাদ পাওয়ার, শিবম দুবে মিলে দলের হাল ধরেন।
৪৯ বলে ৪৫ করেন শিবম। প্রসাদ পাওয়ার একমাত্র ব্যাটার, যিনি এই ম্যাচে মুম্বইয়ের হয়ে হাফসেঞ্চুপরি করেন। ৮টি চারের সাহায্য ৫৮ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৫ বলে ২৭ করেন তিনি। মোহিত অবস্তি করেন ২৫ বলে ১৭ রান। এর বাইরে বাকিরা অবশ্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেনি। মূলত বরুণ চক্রবর্তী এবং সাই কিশোরের স্পিনের জালই গলার ফাঁস হয়ে যায় মুম্বইয়ের। ৪৮.৩ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই। তামিলনাড়ুর বরুণ এবং সাই কিশোর ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মনিমরণ সিদ্ধার্থ এবং বাবা অপরাজিত।
আরও পড়ুন: ICC U-19 World Cup-এর পরিবর্তিত সূচি প্রকাশিত, ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
খুব বড় লক্ষ্য ছিল না। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে তামিলনাড়ু। ওপেনার নারায়ণ জগদীশান ৪০ বলে ২৭ করে আউট হয়ে গেলে হাল ধরেন বাবা অপরাজিত এবং বাব ইন্দ্রজিৎ। ৬০ বলে ৪৫ করে অবশ্য বাবা অপরাজিত আউট হয়ে গেলেও, লড়াই চালিয়ে যান ইন্দ্রজিৎ। ১১টি চারের হাত ধরে ৯৮ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। এছাড়া ৫৮ বলে ৫১ করে অপরাজিত থাকেন বিজয় শঙ্কর। ৪৩.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৯ করে ফেলে তামিলনাড়ু। ৪০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ ভারতের দলটি। সেই সঙ্গে তারা সেমিফাইনালে উঠে পড়ে।