ধুতি পরে ক্রিকেট। এও সম্ভব? এমনটাই অবশ্য ঘটেছে। ধুতি পরে ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বৈদিক পণ্ডিতরা। তাঁরা ঐতিহ্যবাহী ধুতি-কুর্তা পরে সজ্জিত ভোপালের একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। আসলে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সংস্কৃত ভাষার প্রচারের লক্ষ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বৈদিক পণ্ডিতরা ধুতি এবং তাঁদের কপালে ধর্মীয় টিকা পরে ভোপালের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শুক্রবার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মহর্ষি মহেশ যোগীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলকে আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন দেখতে যাওয়ার টিকিট দেওয়া হবে বিনামূল্যে। মহর্ষি মহেশ যোগী পশ্চিমে অতীন্দ্রিয় ধ্যান প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁকে স্মরণ করতেই প্রতি বছরই এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের একজনের মতে, অযোধ্যা তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ রাম মন্দিরের পবিত্রতা ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
চার দিনব্যাপী টুর্নামেন্টটি শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের অঙ্কুর মাঠে শুরু হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল, খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা সাবলীল ভাবে সংস্কৃতে গোটা ম্যাচে কথা বলে গিয়েছেন। এমন কী, ধারাভাষ্যকাররাও মাঠের যাবতীয় ঘটনা, যেমন হিট, মিস এবং ক্যাচ, প্রাচীন এই ভাষায় বর্ণনা করেছেন। অংশ নেওয়া ক্রিকেটারেরা প্রায় প্রত্যেকেই বৈদিক পণ্ডিত।
আরও পড়ুন: রোহিতের T20I ক্যারিয়ারে ইতি? ব্রডকাস্টারদের পোস্টারে তেমনই ইঙ্গিত, শুরু জোর জল্পনা
আধ্যাত্মিক নেতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের জন্ম ১২ জানুয়ারি। এই সংগঠন দেশের কিছু অংশে বৈদিক স্কুল এবং সেমিনারি পরিচালনা করে। আয়োজকদের তরফে এক সদস্য জানিয়েছেন, বৈদিক পরিবারগুলির মধ্যে সংস্কৃত এবং খেলাধুলোর মানসিকতা তৈরির জন্যেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। এই নিয়ে চতুর্থ বার হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।
মহর্ষি মৈত্রি ম্যাচ কমিটির সদস্য অঙ্কুর পাণ্ডে জানিয়েছেন, জয়ী দলকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনে পাঠানো হবে। এ ছাড়া তাদের ২১ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। পরাজিত দল পাবে ১১ হাজার টাকা। অঙ্কুরের দাবি, ১২টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। অঙ্কুর পান্ডে আরও বলেছেন, ভোপালের চারটি টিম সহ মোট এক ডজন দল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চতুর্থ সংস্করণে অংশ নিয়েছে।
অন্য একজন সংগঠক বলেছেন যে, এই প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে বৈদিক পরিবারগুলির মধ্যে সংস্কৃত এবং খেলাধুলোর মানসিকতা তৈরি করাটাই উদ্দেশ্য। পুরস্কার ছাড়াও খেলোয়াড়দের বৈদিক বই এবং ১০০ বছরের 'পঞ্চাং' (পঞ্জিকা) দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে।