বল হাতে জ্বলে উঠলেন দু'দলের দুই জয়দেব। শেষমেশ চেতেশ্বর পূজারাদের বিধ্বস্ত করে শেষ হাসি হাসেন ঋদ্ধিমান সাহারা। বিজয় হাজারে ট্রফির এ-গ্রুপের ম্যাচে শক্তিশালী সৌরাষ্ট্রকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে ঋদ্ধির নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা।
আলুরে টস জিতে ত্রিপুরাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় সৌরাষ্ট্র। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, বিক্রমকুমার দাস ও গণেশ সতীশের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে ত্রিপুরা আড়াইশো টপকে চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে।
সুদীপ ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৩ বলে ৬১ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৬ বলে ৫৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন বিক্রম। সতীশ ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৪ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ক্যাপ্টেন ঋদ্ধি ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন।
খাতা খুলতে পারেননি পল্লব দাস ও অভিজিৎ সরকার। মণিশঙ্কর মুরাসিং ২৫ রানের যোগদান রাখেন। এছাড়া রজত দে ১, বিক্রমজিৎ দেবনাথ ১৪ ও রানা দত্ত ৬ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন। সৌরাষ্ট্রের হয়ে আগুনে বোলিং করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্কোয়াড থেকে থেকে বাদ পড়া জয়দেব উনাদকাট। তিনি ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন চিরাগ জানি, ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ও বিশ্বরাজ জাদেজা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সৌরাষ্ট্র। তারা ৩১.৪ ওভারে মাত্র ১১০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৪৮ রানে ম্যাচ জেতে ত্রিপুরা। সৌরাষ্ট্রের হয়ে সব থেকে বেশি ২৪ রান করেন পূজারা। ৩২ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার মারেন।
এছাড়া প্রেরক মানকড় ২১, পার্থ ভাট ২১, অর্পিত বাসবদা ১৬ ও ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। হার্ভিক দেশাই ৫, শেলডন জ্যাকসন ৩, বিশ্বরাজ জাদেজা ৪ ও ক্যাপ্টেন জয়দেব উনাদকাট ১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি চিরাগ জানি।
ত্রিপুরার হয়ে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জয়দেব দেব ৬.৪ ওভার বল করে ১৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৩ রানে ২টি উইকেট নেন মণিশঙ্কর মুরাসিং। ১টি করে উইকেট দখল করেন রানা দত্ত, অভিজিৎ সরকার ও বিক্রমজিৎ দেবনাথ।