আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে পার পেলেন না বিরাট কোহলি। ইডেনে আরসিবি তারকার হম্বিতম্বিকে ভালো চোখে দেখেনি বিসিসিআই। মহাতারকা হলেও এক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে শাস্তি পেতে হল কোহলিকে।
রবিবার ইডেনে হর্ষিত রানার হাই-ফুলটস বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয় কোহলি। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তাঁকে আউট ঘোষণা করলেও ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিরাট। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি রীতিমতো ঝগড়া করেন ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে। শেষমেশ রাগে গজগজ করতে করতে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
ম্যাচের শেষেও তাঁকে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। যদিও কোহলির শরীরী ভাষা কখনই নরম ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই এমন আচরণের জন্য বিরাটের শাস্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। শেষমেশ সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়।
কোহলির বিরুদ্ধে আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন ম্যাচ রেফারি। আচরণবিধির ২.৮ ধারা অনুযায়ী কোহলিকে লেভেল-ওয়ান পর্যায়ের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করার জন্য শাস্তিবিধান রয়েছে এই ধারায়। ফলে তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করে বিসিসিআই।
বিরাট কোহলি অপরাধ স্বীকার করে ম্যাচ রেফারির দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় ফর্ম্যাল হেয়ারিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। লেভেল-ওয়ান পর্যায়ের অপরাধের জন্য ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই শেষ কথা বলে বিবেচিত হয়। উল্লেখ্য, রবিবার মুল্লানপুরে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচে একইরকম অপরাধের জন্য ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয় পঞ্জাব কিংসের অস্থায়ী দলনায়ক স্যাম কারানকে।
ইডেনের কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচে নিয়ম ভেঙে একা কোহলিকেই নয়, বরং শাস্তি পেতে হয় বেঙ্গালুরু দলনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসিকেও। আরসিবি নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে না পারায় স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে। ফলে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয় ক্যাপ্টেন ডু'প্লেসির।
আইপিএলের আচরণবিধির ২.৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোন কোন বিষয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়:-
১. আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করা।
২. আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে দেরি করা।
৩. মাথা নাড়িয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করা।
৪. এলবিডব্লিউ-এর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যাটের কানায় লেগেছে ইঙ্গিত করা।
৫. কট-বিহাইন্ডের ক্ষেত্রে প্যাড অথবা কাঁধে বল লেগেছে ইঙ্গিত করা।
৬. আম্পায়ারকে ধরতে দেওয়া নিজের টুপি ছিনিয়ে নেওয়া।
৭. রিভিউ না থাকা সত্ত্বেও টেলিভিশন আম্পায়ারকে রিভিউয়ের ইঙ্গিত করা।
৮. আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে তর্ক জুড়ে দেওয়া।