একে তো ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে ১ রানে হেরে চলতি আইপিএল থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে আরসিবির। তার উপর হারের পরেই দুঃসংবাদ উড়ে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরে। নাইট রাইডার্সের কাছে পরজিত হওয়ার পরেই বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হল ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে। এক্ষেত্রে তাঁর দল নিয়ম ভাঙায় বিসিসিআইয়ের ক্ষোভের মুখে পড়েন আরসিবি দলনায়ক।
অন্যদিকে বিসিসিআই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ পঞ্জাব কিংসের অস্থায়ী দলনায়ক স্যাম কারানের উপরেও। আইপিএলের আচরণবিধি ভেঙে পার পাননি ব্রিটিশ তারকা। তাঁকে আরও বড়সড় শাস্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
রবিবার ইডেনে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি আরসিবি। স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ায় শাস্তি হয় বেঙ্গালুরু দলনায়ক ডু'প্লেসির। যেহেতু আইপিএল চলতি মরশুমে এটি আরসিবির প্রথম ওভার রেট বজায় রাখতে না পারার অপরাধ, তাই শুধুমাত্র ক্যাপ্টেনকে জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য নিয়ম মতো ডু'প্লেসিকে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পার পেয়ে গিয়েছেন দলের বাকি ক্রিকেটাররা। যদিও ফের এমন ভুল করলে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে মাশুল গুনতে হবে প্রথম একাদশের বাদি খেলোয়াড়দেরও। এমনকি শাস্তি হবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারেরও।
স্যাম কারানের শাস্তি অবশ্য স্লো ওভার-রেটের জন্য নয়। বরং আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী লেভেল-ওয়ান পর্যায়ের অপরাধের অভিযোগ ওঠে পঞ্জাব দলনায়কের বিরুদ্ধে। আচরণবিধির ২.৮ নম্বর ধারা ভঙ্গের দায়ে পড়েন কারান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করার জন্য শাস্তিবিধান রয়েছে এই ধারায়।
ফলে ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমিনা করা হয় স্যাম কারানের। ব্রিটিশ তারকা অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় ফর্ম্যাল হেয়ারিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। লেভেল-ওয়ান পর্যায়ের অপরাধের জন্য ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই শেষ কথা বলে বিবেচিত হয়।
আইপিএলের আচরণবিধির ২.৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোন কোন বিষয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়:-
১. আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করা।
২. আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে দেরি করা।
৩. মাথা নাড়িয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করা।
৪. এলবিডব্লিউ-এর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যাটের কানায় লেগেছে ইঙ্গিত করা।
৫. কট-বিহাইন্ডের ক্ষেত্রে প্যাড অথবা কাঁধে বল লেগেছে ইঙ্গিত করা।
৬. আম্পায়ারকে ধরতে দেওয়া নিজের টুপি ছিনিয়ে নেওয়া।
৭. রিভিউ না থাকা সত্ত্বেও টেলিভিশন আম্পায়ারকে রিভিউয়ের ইঙ্গিত করা।
৮. আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে তর্ক জুড়ে দেওয়া।