'ওরা দু'জন একা থাকতেই পারেনা, কি যে করে ওরা এক সঙ্গে'? শুভমন গিল এবং ইশান কিষানকে নিয়েই এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বর্তমানে বিরাট, ইশান এবং শুভমন, তিনজনেই খেলেন ভারতীয় দলের হয়ে। তবে সব সময়ই শুভমন আর ইশান এক সঙ্গে থাকে, বলছেন বিরাট কোহলি।
কদিন আগে মুম্বই ইন্ডিয়ানস বনাম গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচেও দেখা গেছিল রোহিত শর্মাদের মুম্বই দলের সঙ্গে কথা বলতে এসে ইশানকে নিয়ে আলাদা চলে গেছিলেন শুভমন গিল। দুজন যে খুব ভালো বন্ধু, সেটা দুজনের হাসি মুখই বলে দিচ্ছিল। এবার তাঁদের জয় - বীরুর বন্ধুত্ব নিয়েই রহস্য ফাঁস করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আইপিএল চলাকালীন এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোহলি জানান, গিল এবং কিশান একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারেনা।
আরও পড়ুন-T20 বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সঞ্জুকে চাইছেন লারা, স্যামসনকে দিয়ে ওপেন করানোর দাবি আম্বাতির
হাসি চাপতে না পেরে আইপিএল ২০২৪-এর সর্বোচ্চ রানের মালিক বিরাট কোহলি বলেন,' ওরা(ইশান কিষান ও শুভমন গিল) দুজন বেশ মজার। পুরো সীতা আর গীতা। কি আছে ওদের মধ্যে আমি জানিনা। কিন্তু ওরা একে অপরকে ছাড়া থাকতেই চায় না। যদি খাবার খেতে বাইরে যায়, ওরা একসঙ্গে থাকে। আলোচনার সময় ওরা একসঙ্গে থাকে। খুবই ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে দুজনের(ইশান কিষাণ ও শুভমন গিল)'।
আরও পড়ুন-কোচ, ক্যাপ্টেনকে না জানিয়ে ব্যাট করতে নেমে যেতেন ধোনি,বিস্ফোরক অভিযোগ অজির
এবারের আইপিএলে মোটামুটি শুরু হয়েছে শুভমন গিলের। প্রথমদিকের ম্যাচে রান না পেলেও ব্যাটে রান ফিরেছে তাঁর। পাশাপাশি দলও তৃতীয় জয় পেয়েছে রাজস্থানের বিপক্ষে। এবারের আইপিএলে ২৫৫ রান করেছেন ৬ ম্যাচে। আইপিএলের কেরিয়ারে ৯৭ ম্যাচ খেলেই ঢুকে পড়েছেন ৩০০০ রানের ক্লাবে। এছাড়াও দলের অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাত্র ২৪ বছর বয়সেই।
আরও পড়ুন-‘ওরা তো সব ২৫-৩০ রানের প্লেয়ার’,বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা প্রাক্তন নির্বাচকের
গিলের তুলনায় ইশান কিষানের পারফরমেন্স অবশ্য মোটেই আশাব্যঞ্জক নয় এবারের আইপিএলে। ৪ ম্যাচে করেছেন এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯২ রান। দল প্রথম চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে। গত দুই বছরই আইপিএলে ৪০০-র বেশি রান করেছেন ইশান। গতবছর তার বন্ধু গিল করেছিলেন ৮০০-র ওপর রান। এখনও পর্যন্ত ৩২ টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন ৭৯৬ রান। সেখানে গিল ১৪টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচে করেছে ৩৩৫ রান। উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের দুজনই এই মূহর্তে ভারতের টি২০ দলের অপরিহার্য অঙ্গ নয়, কোনও কোনও সিরিজে ডাকা হচ্ছে। গিলের টি২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আসার সম্ভাবনা থাকলেও ইশানের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।