শুভব্রত মুখার্জি: বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা দল। যেখানে তিন ফর্ম্যাটের সিরিজেই খেলবে দুই দল। ইতিমধ্যেই টি-২০ এবং ওয়ানডে সিরিজ হয়ে গিয়েছে। দুটি সিরিজেই দুই দল তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। টি-২০ সিরিজ ২-১ ফলে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ফলে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজেই অবসর ভেঙে খেলার জন্য দলে ফিরেছিলেন শ্রীলঙ্কার তারকা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে দলে ফিরলেও আসন্ন টেস্ট সিরিজে খেলা হবে না তাঁর। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন তিনি। ঠিক কী কারণে ঘটল এই ঘটনা? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতভাবে।
আগামী শুক্রবার সিলেটে দুই দলের প্রথম টেস্ট শুরু। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট চট্টগ্রামে খেলা হবে আগামী ৩০ মার্চ। অবসর ভেঙে ফিরে এই সিরিজেই খেলার কথা ছিল তাঁর। তবে তা বাস্তবে হচ্ছে না। আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার কারণে বড়সড় শাস্তি পেয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ২ টেস্টের সিরিজের জন্য নিষিদ্ধ লঙ্কানদের এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। সোমবার টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আইসিসির আচরণ বিধির ২.৮ ধারা ভাঙেন হাসারাঙ্গা।
আইসিসির ওই ধারাতে বলা রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রদর্শন করলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ঘটনাটি ঘটেছিল বাংলাদেশের রান তাড়া করার সময়ে ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। নিজের ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান মিরাজকে আউট করেন হাসারাঙ্গা। এরপর নেমেই প্রথম বলেই লঙ্কান স্পিনারকে ছক্কা হাঁকান রিশাদ হোসেন। পরের বলে তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে লঙ্কানরা। আম্পায়ার আউট দেননি। সিদ্ধান্ত রিভিউ করে লঙ্কানরা।সেখানেও ‘আম্পায়ার্স কলের’ কথা বলা হয়। তখনই অসন্তোষ জানিয়ে শাস্তির মুখে পড়লেন হাসারাঙ্গা।
আইসিসি তাঁর ম্যাচ ফির অর্ধেক জরিমানা করেছে। হাসারাঙ্গাকে দেওয়া হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ২৪ মাসের মধ্যে তার নামের পাশে এই নিয়ে যুক্ত হল আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে কোনও ক্রিকেটার আটটি ডিমেরিট পেলে শাস্তি হিসেবে তাঁকে চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়। অর্থাৎ,হয় দুটি টেস্ট কিংবা চারটি ওয়ানডে না হলে চারটি টি-২০'তে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হবে। তিন ফর্ম্যাটে মধ্যে দলের খেলা যে ফর্ম্যাটে আগে আসে, সেখানে খেলতে পারবেন না শাস্তির কবলে পড়া ক্রিকেটার।হাসারাঙ্গা নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার ফলে এবং ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের শাস্তি মেনে নেন ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।