ঘরের মাঠে কেকেআর ঠিক যেমন পিচ প্রত্যাশা করে, তেমনটা যে তারা হাতে পায় না, এতদিনে প্রতিপক্ষ দলগুলিও সেটা জেনে নিয়েছে। কেকেআরের হাতে সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াশ শর্মার মতো স্পিনার থাকা সত্ত্বেও পিচ থেকে পূর্ণ সুবিধা তুলে নিতে পারে না তারা। অগত্যা নির্ভর করতে হয় পেসারদের উপরে।
তবে রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ইডেনের ডে ম্যাচে পরিবেশ-পরিস্থিতিকে যথাযথ ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল কলকাতার। যে কাজে তারা চূড়ান্ত সফল। ম্যাচের শেষে নাইট দলনায়ক শ্রেয়স আইয়ারই খোলসা করলেন নিজেদের গেম প্ল্যানের কথা।
কলকাতার খাঁ-খাঁ রোদে সাড়ে তিনটে থেকে মাঠে নামা সহজ নয় মোটেও। উষ্ণ আবহাওয়ার জন্যই পিচ ছিল তুলনায় শুকনো। এমন পিচে সহজে ব্যাটে বল না এলে চার-ছয় মারা কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে রান তুলতে হলে নিজের শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। তবে এমন গরমে কতক্ষণ সজোরে ব্যাট চালিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেই বিষয়ে সংশয় থাকাই স্বাভাবিক। কেকেআর ঠিক এই বিষয়টাকেই হাতিয়ার করে। ইডেনের গরমে লখনউয়ের ব্যাটারদের প্রাণশক্তি নিংড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা কাজে দেয় শেষমেশ।
কলকাতার পরিকল্পনা ছিল, কোনওভাবেই হাফ-ভলি দিয়ে ব্যাটারদের সস্তায় রান উপহার দেওয়া যাবে না। বলে বাড়তি গতিও দেওয়া যাবে না, যাতে ব্যাটার সহজে শট খেলতে পারেন। বরং লখনউয়ের ব্যাটারদের রান তোলার জন্য যাতে ঘাম ঝরাতে হয়, সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করার দিকে নজর ছিল নাইটদের।
আরও পড়ুন:- ২০০ উইকেটের আরও কাছে চাহাল, প্রথম বোলার হিসেবে IPL-এ ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় যুজি
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘দলের পারফর্ম্যান্সে যারপরনাই খুশি। যেভাবে আমরা খেলেছি, এটাকে দাপুটে জয় বলতেই হয়। আমরা চাপের মুখে দারুণ বল করেছি। পরে দুর্দান্তভাবে ম্যাচ ফিনিশ করতে পেরেছি, যেটাকে সোনায় সোহাগা বলা যায়।’
নাইট অধিনায়ক পরক্ষণে বলেন, ‘যত বেশি সম্ভব স্লোয়ার বল করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে রকম গরম ছিল, পিচ একটু শুকনো দেখায়। হাফ-ভলি ডেলিভারি যত বেশি কমানো যায়, সেদিকেই নজর ছিল আমাদের। আমরা চেয়েছিলাম ব্যাটাররা বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠাতে তাদের শক্তি প্রয়োগ করুক। ইতিবাচক দিক হল, আমরা দুর্দান্তভাবে সেই পরিকল্পনা মেলে ধরতে পেরেছি। তার মধ্যে ক্রমাগত উইকেট পেয়ে যাওয়াটা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেয়। আমি যখনই যার হাতে বল তুলে দিয়েছে, প্রত্যেকে তৈরি ছিল। এটাই ওদের ডাকাবুকো মানসিকতার প্রমাণ দেয়।’