২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে মিচেল মার্শ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০১.৯৬ রান রেটে রান করেছেন। লখনউতে তিনি ৫১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসে তিনি ৯টি চার মেরেছিলেন। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রতিযোগিতায় এই ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে টুর্নামেন্টে তাদের পয়েন্টের খাতা খুলল। ম্যাচের পর সুনীল গাভাসকরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মিচেল মার্শ।
ম্যাচের পরে সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘তোমার বাবা কি তোমাকে এভাবে ব্যাট করতে শেখাননি (রক্ষণাত্মক শট খেলার অঙ্গভঙ্গি)?’ এর উত্তরে মিচেল মার্শ বলেন, ‘আমি তার খারাপ স্ট্রাইক রেট পূরণ করছি।’ আসলে মিচেল মার্শের বাবা হলেন জিওফ মার্শ। যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫০টি টেস্ট এবং ১১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। মিচেলের ভাই শন মার্শ টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের একজন অংশ ছিলেন। জিওফ মার্শের স্ট্রাইক রেট খুব একটা বেশি নয়। টেস্টে তাঁর স্ট্রাইক রেট ৩৩.১৮। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইক রেট ৩৯.৯৮। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৯.৪৬ এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন মিচেল মার্শের বাবা। এছাড়া লিস্ট এ ক্রিকেটে ৪২.১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি।
এদিনের ম্যাচের কথা বললে, অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২০৯ রানে সীমাবদ্ধ করে। এই ম্যাচে অ্যাডাম জাম্পা চার উইকেট নিয়েছিলেন। আইল্যান্ড নেশনের হয়ে কুশল পেরেরা (৭৮) ও পাথুম নিশঙ্কা (৬১) রান করেন। এদিকে, মার্শ ছাড়াও, জোশ ইংলিস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফিফটি করেন। ম্যাচের কথা বললে, সোমবার আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৪৩.৩ ওভারে ২০৯ রানে সীমাবদ্ধ করার পরে, অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫.২ ওভারে লক্ষ্য অর্জন করে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জোশ ইংলিস ৫৮ রান এবং মিচেল মার্শ ৫২ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি উইকেট নেন দিলশান মদুশঙ্কা।
মার্শ ফিফটি করেন
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল মার্শ ৫২ ও জোশ ইংলিস ৫৮ রান করেন। একই সময়ে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২১ বলে ৩১ রান করার পর অপরাজিত থাকেন। মার্নাস ল্যাবুশানও ৪০ রানের অবদান রাখেন। এর আগে ৪৩.৩ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার পুরো দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন কুশল পেরেরা, পাথুম নিশঙ্কা করেন ৬১ রান। বোলিংয়ে ক্যাঙ্গারু দলের হয়ে চার উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ফলে প্রশ্ন উঠছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে। এছাড়া অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। এর আগে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, তার কাছে প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো। কারণ সেমিফাইনালে উঠতে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই জিততে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।