সাংবিধানিক রক্ষাকবচ আছে, তাই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। নেওয়া যাবে না কোনও ব্যবস্থা। হুংকার দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছেন যে সংবিধান তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাই তিনি যতদিন রাজ্যপালের কুর্সিতে বসে আছেন, ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। দায়ের করতে পারবে না এফআইআরও। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে রাজভবন কর্মীদের কোনওরকম বয়ান দিতে নিষেধ করেছেন রাজ্যপাল। পুলিশের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হলেও সেটা ‘উপেক্ষা’ করতে বলেছেন।
রাজ্যপাল যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের পরই বলেছেন। রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটার ভিত্তিতে ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল ডিভিশন) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশের সেই বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রয়োজনে রাজভবনের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছিল।
রাজ্যপাল কী বলেছেন?
সেই প্রেক্ষিতে রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে তিনি যেমন সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারার কথা উল্লেখ করেছেন, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। শীর্ষ আদালত কী বলেছিল, তা বিবৃতিতে রেখেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় যতদিন রাজ্যপাল আছেন, ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। আদালতও কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না। সংবিধানই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনওরকম তদন্ত চালানো বা এফআইআর দায়ের করা থেকে বিরত করেছে সংবিধান। পাশাপাশি রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে পুলিশি বার্তাকে যেন উপেক্ষা করা হয়।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে কী বলেছেন?
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতানির যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকালও একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত বিবিএক্সে। তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়? আপনি আমায় কালও বলে পাঠিয়েছেন, আমার মন্ত্রী আপনাকে কেন এসব বলেছে। শুনে রাখুন, আমার কাছে একটা নয়, ১,০০০ টা ঘটনা এসেছে। কিন্তু আমি কোনওদিন কোনও কথা বলিনি। কিন্তু কাল মেয়েটির কান্না আমার হৃদয় (ভেঙে গিয়েছে)।’