ব্যাটেই লাগেনি বল, ছুঁয়ে যায়নি গ্লাভসও। তা সত্ত্বেও জেরাল্ড কোয়েটজিকে কট-বিহাইন্ড আউট দেন আম্পায়ার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত চুপচাপ মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়েন জেরাল্ড কোয়েটজি। হাতে রিভিউ থাকা সত্ত্বেও তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাননি।
বৃহস্পতিবার ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া দলনায়ক তেম্বা বাভুমা। যদিও তাঁর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের শুরুতেই। ম্যাচের একেবারে প্রথম ওভার থেকে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়া ইনিংসের ৩০.৫ ওভারে মারকো জানসেন আউট হওয়ার পরে ব্যাট করতে নামেন জেরাল্ড কোয়েটজি। ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটিও গড়েন তিনি। তবে ৪৩.৩ ওভারে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কোয়েটজিকে।
প্যাট কামিন্সের বল কোয়েটজির কাঁধের নীচে লেগে উইকেটকিপার জোশ ইংলিসের দস্তানায় জমা পড়ে। আম্পায়ার আউট দেন। জেরাল্ড কয়েক মুহূর্তের জন্য নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার ডেভিড মিলারের সঙ্গে রিভিউ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনাও করেন। বল ব্যাটে লেগেছে কিনা নন-স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে মিলার তা বুঝতে পারেননি। সেকথা তিনি জানান কোয়েটজিকে। তা সত্ত্বেও রিভিউ না নিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান জেরাল্ড।
পরে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তিতে দেখা যায় যে, বল কোয়েটজির ব্যাট বা গ্লাভসে লাগেনি। বল আসলে ব্যাটারের কাঁধের নীচে লেগে উইকেটকিপারের কাছে যায়। জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে ডেভিড মিলারকেও কার্যত হতবাক দেখায়। বল কাঁধে লেগেছে, এটা কোয়েটজি কীভাবে বুঝতে পারলেন না, সেটা ভেবেই সম্ভবত অবাক হন মিলার।
ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ইরফান পাঠানকেও বলতে শোনা যায় যে, ‘আম্পারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল সন্দেহ নেই। তবে ব্যাটসম্যান কীভাবে বুঝতে পারলেন না যে, বল তাঁর কাঁধে লেগেছে! বল গ্লাভসে লাগলেও ব্যাটসম্যানের বুঝতে পারা উচিত।’ সুতরাং, কোয়েটজিকে এভাবে মাঠ ছাড়তে দেখা অদ্ভুত বলেই মনে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
দক্ষিণ আফ্রিকা শেষমেশ ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ডেভিড মিলার। এছাড়া এনরিখ ক্লাসেন ৪৭ ও জেরাল্ড কোয়েটজি ১৯ রান করেন।