বৃষ্টি যেন বিশ্বকাপেও ভারতের পিছন ছাড়বে না। এশিয়া কাপে ভারতের পিছনে তাড়া করে বেরিয়েছে বৃষ্টি। এবার নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ খেলতে চলেছে ভারত। তার আগেও টিম ইন্ডিয়ার সামনে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। এমনকী শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচের সময়েও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শুক্রবার তিরুবনন্তপুরমে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান প্রস্তুতি ম্যাচটি ভারি বর্ষণের কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। এত বৃষ্টি হয়েছে যে, এই ম্যাচে টস করাই সম্ভব হয়নি। হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বৃষ্টি। এমন কী গুয়াহাটিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার গুয়াহাটিতে বেশির ভাগ সময়েই আকাশ মেঘলা থাকবে। দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে ৪৯ শতাংশ। সন্ধ্যায় সেটা বেড়ে হতে পারে ৭০-৭৮ শতাংশ। তাই খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাধা পেতে পারে। তাপমাত্রা প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। আর্দ্রতা প্রায় ৭৬-৯২ শতাংশ থাকতে পারে। ম্যাচ চলাকালীন বাতাসের গতিবেগ হবে ৫-১০ কিমি/ঘন্টা।
বারসাপাড়া স্টেডিয়ামের উইকেট সাধারণ ব্যাটিং সহায়কই হয়ে থাকে। ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের সময়ে পরিস্থিতি একই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পেসাররাও নতুন বলে বোলিং উপভোগ করতে পারে, যখন প্রতিটি ইনিংসের শেষের দিকে স্পিনাররা কাজে আসবে।
সদ্য শেষ হয়েছে ভারত বাম অস্ট্রেলিয়া ওডিআই সিরিজ। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে সিরিজ পকেটে পুড়ে নিলেও, তৃতীয় ওডিআই-এ অজিদের পুরো টিম খেললে ভারত কিন্তু বেকায়দায় পড়ে যায়। ম্যাচটি তারা বাজে ভাবে হারে। মূলত মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার জন্য ভারতকে হারতে হয়। যেটা বিশ্বকাপের আগে চিন্তায় রাখবে টিম ইন্ডিয়াকে।
গুয়াহাটিতে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড যে ভারতের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে হেড টু হেড পারফরম্যান্সের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন রোহিত শর্মারাই। ভারত-ইংল্যান্ড মোট ১০৬টি ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে ভারত ৫৭টিতে জিতেছে। ইংল্যান্ড জিতেছে ৪৪টি ম্যাচ। ড্র হয়েছে ২টি। আর ৩টি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি। ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রিটিশরা।