বিশ্বকাপে একেবারেই ভালো কাটছে না পাকিস্তানের। প্রথম দুটি ম্যাচে জিতলেও তারপর থেকে লাগাতার হারের মুখ দেখতে হয়েছে পাক শিবিরকে। সোমবার এই বিশ্বকাপের তৃতীয় অঘটন আসে আফগানিস্তানের হাত দিয়ে। একবারের বিশ্বজয়ী দল পাকিস্তানকে একটি নয়, দুটি নয়, ৮টি উইকেটে হারান হাশমতুল্লাহ শহিদির দল। না ব্যাটিং, না বোলিং, কোনোটাতেই স্বচ্ছতা দেখা যায়নি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের থেকে। এমনকী এদিন ফিল্ডিংয়েরও ধারে কাছে আসতে পারেনি পাক ক্রিকেটাররা। এই হারের পর রীতিমতো চাপে পড়েছে বাবর আজম সহ গোটা টিম ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তানের থেকে এমন বাজে ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা করেছেন স্বয়ং দলের ডিরেক্টর মিকি আর্থার।
খেলা চলাকালীন একটি দৃশ্য ধরা পড়ে যেখানে দেখা যায় পাকিস্তানের অত্যন্ত খারাপ ফিল্ডিং দেখে মিকি আর্থার বিরক্ত হয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান। এই দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ধেয়ে আসে টুইটের ঝড়। এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীরা এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে নিজেদের বক্তব্য একটি ক্যাপশনের মাধ্যমে প্রকাশ করে। কিছু ব্যবহারকারী ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেন। আবার কেউ পাকিস্তানের এই খারাপ ফিল্ডিংয়ের নিন্দাও করেন ভিডিয়োটি শেয়ার করে।
উল্লেখ্য, সোমবার এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এই বিশ্বকাপের তৃতীয় অঘটন ঘটে। ইংল্যান্ডের পর এবার পাকিস্তানকে বধ করলো আফগানিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ২৮২ রান। অর্ধশতরান আসে পাক অধিনায়ক বাবর আজম ও ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে। এছাড়াও ঝড়ের গতিতে রান আসে ইফতিকার আহমেদ ও অলরাউন্ডার শাদব খানের থেকেও। দুজনেরই ব্যক্তিগত স্কোর ৪০। এদিন আফগান বোলারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেন নূর আহমেদ। তিনি একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন নবীন উল হক। তিনি নেন দুটি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত গতিতে রান করতে শুরু করে দুই আফগান ওপেনার রাহমনউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ২২ ওভারের শুরুতে গুরবাজ ৬৫ রান করে আউট হন। এরপর ৮৭ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তখন দলের স্কোর ১৯০। এরপর অধিনায়ক হাশমতল্লাহ রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর দলকে 'ফিনিশ লাইন'এ নিয়ে যায়। এবং ম্যাচটি পকেটে পুরে নেন ৮ উইকেটে। আফগান অধিনায়ক ৪৫ বলে করেন ৪৮ রান। অন্যদিকে শাহ ৮৪ বল খেলে করেন ৭৭ এবং তিনি ম্যাচের সেরা হন।