মায়ান্তি ল্যাঙ্গারের প্যান্ট পরেছেন সুনীল গাভাসকার অথবা গাভাসকারের কোট পরেছেন মায়ান্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে এমনই কুরুচিকর মন্তব্য করলেন রোশন আবেসিংহে। যিনি নিজেকে শ্রীলঙ্কার ধারাভাষ্যকার হিসেবে দাবি করেছেন। আর সেই পোস্টের জেরে নেটপাড়ায় তুমুল সমালোচিত হয়েছেন আবেসিংহে। কড়া ভাষায় তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ‘শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের এরকম অধঃপতন হয়েছে কেন, সেটা এখন বুঝতে পারলাম। সেজন্যই সবার আগে শিক্ষাটা খুব জরুরি।’ তবে কোনও কোনও নেটিজেন আবার আবেসিংহের সেই মন্তব্যে মজাও পেয়েছেন। হাসতে-হাসতে আবেসিংহের প্রশংসা করে তাঁরা বলেন, ‘দারুণ বলেছেন।’
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ যে ছবি পোস্ট করে আবেসিংহে সেই মন্তব্য করেছেন, তা বুধবার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের সময় তোলা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত ফাইনালে পৌঁছানোর পর বিশ্বকাপের সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে ছিলেন সঞ্চালক মায়ান্তি এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ধারাভাষ্যকার গাভাসকর। আর ছবির ক্যাপশনে আবেসিংহে লেখেন, ‘কখনও জানতাম না যে দু'পিস স্যুটও ভাগাভাগি করা যায়।’
অর্থাৎ আবেসিংহের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল। তিনি বলতে চাইছিলেন যে মায়ান্তির প্যান্ট পরেছেন গাভাসকর অথবা গাভাসকরের কোট পরে নিয়েছেন সঞ্চালক মায়ান্তি। কারণ মায়ান্তির কোটের রং নীল ছিল। আর গাভাসকর যে প্যান্ট পরেছেন, সেটার রং ছিল নীল। সঙ্গে পরেছিলেন বিশ্বকাপের ডিজাইন করা শার্ট। আর শুধু গাভাসকর নন, ওই একই শার্ট এবং প্যান্ট পরেছিলেন সাইমন ডুল এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকরও। যাঁরা মায়ান্তিদের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে ছিল। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের ড্রেসকোড বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে আবেসিংহে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে চটে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, 'চূড়ান্ত বাজে লোক। ঠিক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট টিমের মতোই।' অপর একজন বলেন, 'আপনাদের মতো লোকের জন্যই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এরকম অধঃপতন হচ্ছে।' একইসুরে এক নেটিজেন বলেন, ‘নিজেকে যে আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার বলছেন, তাতে লজ্জা করে না।’
যদিও কোনও-কোনও নেটিজেন আবার আবেসিংহের সেই কুরুচিকর মন্তব্যে হাসাহাসি করতে থাকেন। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘একদম ঠিক বলেছেন।’ অপর একজন বলেন, ‘হাহা, দারুণ বলেছেন।’ অনেকেই হাসির স্মাইলি দিতে থাকেন আবেসিংহের সেই টুইটে।