Mitchell Marsh feet on World Cup trophy- অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জেতার পর অজি তারকা মিচেল মার্শ এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন যার পরে সর্বত্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সাজঘরে তিনি এমন একটি কাজ করে ফেলেছিলেন যার ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এরপরে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল মিচেল মার্শের। আসলে এই ছবিতে মিচেল মার্শে বিশ্বকাপ ট্রফির অমর্যাদা করতে দেখা গিয়েছিল। হাতের বদলে ট্রফিটি পায়ের নীচে রেখেছিলেন মিচেল মার্শ। এই ভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছিলেন মার্শ। এই ছবি দেখে অনেক ভক্ত বিরক্ত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা মন্তব্য করে নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল এটি বিজয়ীদের সঙ্গে শোভা পায় না। বিতর্কের পরে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন মিচেল মার্শ। অবশেষে একটির ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। নিজের পক্ষ রেখে মিচেল মার্শ বলেন, ট্রফিটিকে অসম্মান করার তাঁর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।
১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা শেষ হয়েছিল। এই ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এই এনকাউন্টারটি হয়েছিল। ম্যাচে ১৫ রান করেছিলেন মিচেল মার্শ। তাঁর উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। ট্র্যাভিস হেডের ১৩৭ রানের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই টিম ইন্ডিয়াকে পরাজিত করেছিল। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পর মিচেল মার্শের ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশনের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে মিচেল মার্শকে বিশ্বকাপের ট্রফি উপরে পা রাখতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার। মিচেল মার্শ সেনকে বলেছেন, ওই ছবিতে অসম্মানের কোনও কিছু নেই। তিনি অসম্মানের কোনও কাজ করেননি। তিনি নাকি এটা করার সময় খুব একটা ভেবে কিছু করেননি। তিনি নাকি সেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা দেখননি। তাঁর মতে বিতর্ক হওয়ার মতো এটাতে কিছুই নেই। মার্শের এই বক্তব্য সকলকে অবাক করতে পারে। মিচেল মার্শ বলেছেন, ‘কোনও অসম্মানের কিছু করতে চাইনি। আমি এটিকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি, আমি এটিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব বেশি দেখিনি। তখন কেউ একজন আমাকে বলেছিল যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু এতে এমন কিছুই নেই যা বলা হচ্ছে।’
মার্শ অসম্মান করার ইচ্ছা না থাকলেও, উত্তরপ্রদেশের একটি কর্মী গোষ্ঠীর একজন নেতা আসলে এই অঙ্গভঙ্গির জন্য গত সপ্তাহে অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মঙ্গলবার আলিগড়ের দিল্লি গেট থানায় ভারতচার বিরোধি সেনার সভাপতি পণ্ডিত কেশব দেব এই অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন। পুলিশ সুপার (শহর) মৃগাঙ্ক শেখর বলেছিলেন, ‘একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি এবং সাইবার সেল থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল খেলোয়াড় ছিলেন মিচেল মার্শ। তিনি ১০ ম্যাচে ৪৯ এর গড়ে এবং ১০৭.৫৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৪১ রান করেছিলেন, যার মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল।