ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বদলার লড়াই। ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপ যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই এবার শুরু হতে চলেছে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল ব্রিটিশরা। তাও ম্যাচ এবং সুপার ওভার ড্র হওয়ার পর বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর সুবাদে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই ক্ষতটা এখনও ষোল আনা রয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের।
বৃহস্পতিবার এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত বারের দুই ফাইনালিস্ট। আর উদ্বোধনী ম্যাচটি নিঃসন্দেহে কিউয়িদের কাছে বদলার। এই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের ক্ষততে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগাতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড। তবে তার আগেই কিউয়ি শিবিরে দুঃশ্চিন্তার কালো মেঘের আনাগোনা। জস বাটলাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিউজিল্য়ান্ড পাবে না তাদের তারকা পেসার টিম সাউদিকেও। যেটা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলেছে কিউয়ি শিবিরকে। একেই চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায়, কেন উইলিয়ামসনকে প্রথম ম্যাচে খেলাতে পারছে না নিউজিল্যান্ড। গোদের উপর বিষফোঁড়া আবার, টিম সাউদির চোটও পুরো সারেনি। তিনিও পুরো ফিট হয়ে উঠতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের প্রস্তুতিতে সঞ্জুর উপস্থিতি, স্যামসনের পোস্টে আলোড়ন নেটপাড়ায়
উইলিয়ামসন না থাকায়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেবেন টম লাথাম। তিনি বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের ম্যাচ মিস করতে চলেছেন টিম সাউদিও। বুড়ো আঙুলের চোট থেকে তিনি পুরো ফিট না হয়ে ওঠায়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবেন না ডানহাতি পেসার। এমন কী চোটের পরিস্থিতি যদি গভীর হয়, তাহলে হয়তো আরও কয়েকটি ম্যাচেও একাদশের বাইরেই থাকতে হতে পারে সাউদিকে। তিনি কোনও প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেননি। কেন উইলিয়ামসন তাও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শুধু ব্যাট করেছিলেন। আর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি ফিল্ডিংও করেন। কিন্তু সাউদিকে নিয়ে তখন থেকেই দুঃশ্চিন্তার কালো ছায়া জমাট বেধেছিল কিউয়িদের আকাশে।
লাথাম বুধবার সাংবাদিকদের বলে দেন, ‘কেন (উইলিয়ামসন) তো নেই-ই। টিমও (সাউদি) নেই। ওকে (সাউদি) নির্বাচনের জন্য পাওয়া যাবে না। তবে ও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। অস্ত্রোপচারের পর প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। তাই আঙ্গুলের চোট এখন অনেকটাই ভালো হয়ে গিয়েছে। ওকে খুব তাড়াতাড়িই পাওয়া যাবে।’ প্রসঙ্গত, সাউদি তিন সপ্তাহেরও বেশি আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে খেলার সময়ে তাঁর বুড়ো আঙুলে চোট পান। হাড় স্থানচ্যুত হলে, তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল।