মুসলিম হয়ে গেলেই স্বর্গলাভ হবে। নাহলে ভুগতে হবে ফল। রোজই তাঁকে এমন হুমকি দেওয়া হত বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ‘হিন্দু’ ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। কারা সেই হুমকি দিতেন, তা অবশ্য জানাননি পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার। তবে এমন সময় তিনি সেই মন্তব্য করেছেন, যখন পাকিস্তানি নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন যে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই (আমদাবাদের ঘটনা নিয়ে) বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট দল বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রবিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-র (পূর্বতন টুইটার) একটি পুরনো ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার কানেরিয়া। যে ভিডিয়ো ২০১৪ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে দাবি করা হয়েছিল যে দুই ক্রিকেটারকে দেখা গিয়েছিল। তাঁরা হলেন শেহজাদ আহমেদ এবং তিলকরত্নে দিলশান।
ওই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে দাবি করা হয় যে পাকিস্তানের ক্রিকেটার শেহজাদ নাকি বলেছিলেন, 'তুমি যদি মুসলিম না হও, তারপর তুমি যদি মুসলিম হয়ে যাও, তাহলে তুমি জীবনে যাই কর না কেন, সোজা স্বর্গে যাবে।' প্রত্যুত্তরে দিলশান কী বলছিলেন, তা অবশ্য বোঝা যায়নি। তারপরই শেহজাদ নাকি বলেছিলেন, ‘তাহলে আগুনের জন্য তৈরি হয়ে যাও।’
আর সেই ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার কানেরিয়া বলেন, ‘ড্রেসিংরুম হোক, মাঠ হোক বা ডাইনিং টেবিল হোক - এটা আমার সঙ্গে রোজ হত।’ যদিও কোন সময় ওরকম ঘটনা ঘটত, কারা সেই ঘটনা ঘটাতেন, তা অবশ্য জানাননি পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার।
কবে শেহজাদ-দিলশানের মধ্যে সেই ‘ঘটনা’ ঘটেছিল? ২০১৪ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কা-ভারত একদিনের ক্রিকেট ম্যাচের সময় সেই ঘটনা ঘটেছিল। যদিও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দিলশান নিজেও বিষয়টি হালকা করে দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনেও নেই যে আমি ওকে কী বলেছিলাম। আমার কোনও বিষয় ছিল না। ম্যাচটা জেতায় আমি খুব খুশি ছিলাম।’ উল্লেখ্য, দিলশানের বাবা মুসলিম ছিলেন, মা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। দিলশানের নাম ছিল তুয়ান মহম্মদ দিলশান। পরবর্তীতে নিজের নাম পালটে নেন।