২০১৫-র বিশ্বকাপ জয় কেরিয়ারের সব থেকে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি। অজি দলনায়ক প্যাট কামিন্সের তর সইছে না আরও একটি বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নামার জন্য। ইডেনের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে উঠে এমনটাই জানালেন কামিন্স।
যদিও ফাইনালে লক্ষাধিক ভারতীয় সমর্থকদের সামনে লড়াই চালাতে হবে বলে মানসিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন অজি দলনয়াক। কামিন্স বাস্তাবটা বোঝেন। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের সমর্থন যে একতরফাভাবে ভারতের জন্যই থাকবে, সেটা উপলব্ধি করতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেনের।
আপাতত এ পর্যন্ত নিজেদের বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান ও সেমিফাইনালের ফলাফলে খুশি প্রকাশ করেন কামিন্স। তিনি ধরে ধরে প্রশংসা করেন ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, জোশ ইংলিশদের। সার্বিকভাবে দলের ফিল্ডিং নিয়েও উচ্ছ্বসিত শোনায় অজি দলনায়ককে।
প্রথমত, রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল নিয়ে কামিন্সের উপলব্ধি, এই ধরণের ম্যাচে ডাগ-আউটে বসে থাকার থেকে মাঠে খেলার মধ্যে থাকা তুলনায় কম টেনশনের। কামিন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় ডাগ-আউটে বসে থাকার থেকে মাঠে নামা অনেক সহজ কাজ ছিল। টেনশনে দম বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস ২টো ঘণ্টা কাটল।’
গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে টস হারা প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘জানতাম পরের দিকে স্পিন কাজ করবে। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় টস হেরে শুরুতে বল করতে হওয়ায় হতাশ হইনি।’
দলের ফিল্ডিং প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘ফিল্ডিং নিয়ে বিস্তর কথা হয়েছে। শুরুর দিকে আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী ফিল্ডিং করতে পারিনি। তবে আজ আমাদের ফিল্ডিং ছিল অনবদ্য। বিশেষ করে ৩৭ বছর বয়সেও ওয়ার্নার যে রকম ফিল্ডিং করেছে, অবিশ্বাস্য।’
ট্র্যাভিস হেড বল হাতে ২১ রানে ২টি উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৬২ রান সংগ্রহ করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন এদিন। তবে কামিন্সকে খুশি করেছে হেডের বোলিং। তিনি বলেন, ‘ট্র্যাভিস হেডের দিন ছিল আজ। মাঝের ওভারে মূল্যবান ২টো উইকেট তুলে কাজ সহজ করে দেয়।'
জোশ ইংলিসের ব্যাটিং নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘ইংলিস অসাধারণ খেলল। ওকে ক্রিজে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে দেখিয়েছে। বিশেষ করে দু’জন দারুণ মানের স্পিনারের সামনে অনবদ্য লড়াই চালায়।'
শেষে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কয়েকজন আগে একবার ফাইনাল খেলেছে। আরও কয়েকজন টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমেছে। স্টেডিয়াম ঠাসা থাকবে সন্দেহ নেই। অবশ্যই একতরফা সমর্থন থাকবে। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। ২০১৫ বিশ্বকাপ কেরিয়ারের অন্যতম সেরা স্মৃতি। ভারতের বিরুদ্ধে আরও একটা ফাইনাল খেলতে পারা দারুণ বিষয়। দল হিসেবে আমরা দারুণ খুশি। তর সইছে না।’