দুর্ভাগ্য যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কেন উইলিয়ামসনের। পায়ের চোট সারিয়ে যাও বার বিশ্বকাপে খেলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ফের আঙুলের চোটের কারণে তিনি একের পর এক ম্যাচ মিস করে চলেছেন। এমন কী নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বুধবার (১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। ডানহাতি ব্যাটসম্যান এখন রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে বাজে ভাবে চোট পেয়েছিলেন।
ব্ল্যাকক্যাপস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ কিউয়ি অধিনায়কের সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে দানিয়ে লিখেছে, ‘কেন উইলিয়ামসনকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু ১ নভেম্বরের ম্যাচের দল থেকে তিনি বাদ পড়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের পরবর্তী ম্যাচের আগে তাঁর আবার মূল্যায়ন করা হবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময়ে সিঙ্গল নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। সেই সময়ে ফিল্ডারের ছোড়া বল তাঁর হাতে এসে লাগে। এতে গুরুতর জখম হয় তাঁর বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উইলিয়ামসন ফের ব্যাট করতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ৭৮ রানে অপরাজিত থেকেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তবে এতে কিউয়িদের সেই ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি। তারা ভালো ভাবেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতে যায়। তার পর থেকে নিউজিল্যান্ড দল যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তবে সেই ম্যাচগুলোতে ৩৩ বছরের তারকাকে চোটের কারণে দলের বাইরেই থাকতে হয়েছে। এমন কী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচটিও তিনি খেলতে পারছেন না।
এই বছর আইপিএলে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। হাঁটুতে তিনি বিশ্রি ভাবে চোট পেয়েছিলেন। এবং তাঁকে এর জন্য অস্ত্রোপচারও করাতে হয়। তার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলে ফিরেই ফের চোটের কবলে পড়েন উইলিয়ামসন। তিনি না থাকায় কিউয়িদের এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন টম লাথাম। তিনি অধিনায়ক হিসাবে অত্যন্ত ভালো করছেন। নিউজিল্যান্ড টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু'টি ম্যাচে হেরেছে এবং চারটিতে জিতেছে। তারা ১.২৩২ নেট রানরেট (NRR) নিয়ে পয়েন্ট টেবলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে এবং প্রতিযোগিতায় সেরা নেট রানরেট (২.০৩২) সহ পয়েন্ট টেবলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।